সেপটিক ট্যাংকে নেমে তরুণের মৃত্যু, আহত ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া তরুণের নাম গোলাম মো. ভুট্টো (২৩)। আহত দুজন হলেন, ভুট্টোর বাবা গোলাম মোস্তফা (৫৫) ও একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৩২)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা আজহার আলী একটি নতুন ভবন নির্মাণ করছিলেন। ভবনটির নিচতলায় ১৫-১৬ দিন আগে সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই করা হয়। ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও কাঠের তক্তা খুলতে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজহারের ছোট ভাই আশরাফুল সেপটিক ট্যাংকে নামেন। এরপর কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফার ছেলে ভুট্টো তাঁকে উদ্ধার করতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামেন। কিছুক্ষণ পর ভুট্টোরও কোনো সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বাবা গোলাম মোস্তফা ট্যাংকের ভেতরে নামলে তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কারও কোনো সাড়া না পেয়ে গ্রামের লোকজন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনাটি ভেঙে ফেলেন। পরে তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুট্টোকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গোলাম মোস্তফা ও আশরাফুলকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

জানতে চাইলে নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুনীর আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, সেপটিক ট্যাংকটি ঢাকা থাকায় ভেতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস জমে ছিল। ওই গ্যাসভর্তি ট্যাংকের ভেতর প্রবেশ করায় অক্সিজেনের অভাবে তাঁরা তিনজন অসুস্থ হন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, অসচেতনতার কারণে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের সার্টারিংয়ের বাঁশ ও কাঠ খুলতে গিয়ে একজনের মৃত্যু ও দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।