স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

স্কুলশিক্ষক পলি রানি মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
স্কুলশিক্ষক পলি রানি মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

তিন মেয়েকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে স্কুলে যাচ্ছিলেন স্কুলশিক্ষক পলি রানি মজুমদার। মেয়েদের দুজন স্কুলে পড়ে। অন্যজনের বয়স মাত্র দুই বছর। পথে অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে সবচেয়ে ছোট মেয়েসহ নিহত হয়েছেন পলি রানি। দুর্ঘটনায় আহত অপর দুই মেয়েও। একজনের অবস্থা গুরুতর।

আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের সালামের দোকান নামক স্থানে নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ছোট মেয়ের নাম নিধি রানি দে। আহত দুই মেয়ের নাম স্নেহা রানি দে (১১) ও মেঘা রানি দে (৯)। গুরুতর আহত স্নেহাকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশে পাঠানো হয়। মেঘাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। 


নিহত পলি রানি মজুমদার বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্বামী গণেশ চন্দ্র দে ঢাকায় চাকরি করেন।

দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, সকালে উপজেলার চৌমুহনীর আলীপুর এলাকার বাসা থেকে তিন মেয়ে স্নেহা, মেঘা ও নিধিকে নিয়ে অটোরিকশায় করে স্কুলে যাচ্ছিলেন পলি রানি। পথে সালামের দোকান নামক স্থানে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পলি রানি ও তাঁর কোলে থাকা নিধি মারা যান।

বেগমগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা এহছানুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, নিহত স্কুল শিক্ষিক পলি রানি মজুমদার মীর ওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আহত স্নেহার অবস্থা ভালো নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়েছে।