স্বাস্থ্যকর্মীসহ শনাক্ত আরও ৩, হাসপাতাল লকডাউন

শেরপুরে এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯। নতুন করে শনাক্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করেন। তাই হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। তবে জরুরি সেবা চলবে।
গতকাল মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগারে শেরপুর জেলা থেকে ২৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে আজ বুধবার সন্ধ্যায় তিনজনের করোনা ‘পজিটিভ’ বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ আজ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে শনাক্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন হলেন ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মী (৩০)। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করেন। তাঁর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলা শহরের গড়কান্দা এলাকার ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
করোনায় আক্রান্ত আরেকজন হলেন সদর উপজেলার এক নারী (৬০)। তিনি ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে আসেন। করোনা সন্দেহে গত সোমবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। করোনা শনাক্তের পর ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
এদিকে ঝিনাইগাতীতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন একজন পিকআপ ভ্যানের চালক (৩০)। তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন করতেন। সামাজিক সংস্পর্শের কারণে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, নতুন করে শনাক্ত তিনজনকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার করোনা আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া এর আগে আক্রান্ত ছয়জনের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানান তিনি।