সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত, আহত ৬

ময়মনসিংহ সদর ও তারাকান্দা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুজন নিহত ও তিনজন হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন এক নারী। এ ছাড়া সিলেটে বাসের ধাক্কায় রিকশাযাত্রী মা-ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে। ঢাকার বাইরে প্রথম আলোনিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয়প্রতিনিধির পাঠানো খবর:

ময়মনসিংহ: তারাকান্দা থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল আটটার দিকে উপজেলার রূপচন্দ্রপুর এলাকায় শিশু মাহিন (৬) তার বাবার সঙ্গে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় মাহিনকে একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শিশুটির বাড়ি তারাকান্দা উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামে। বাবার নাম শহীদুল ইসলাম।

কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় যাত্রীবাহী বাস একটি টেম্পোকে ধাক্কা দেয়। এতে টেম্পোচালক মো. সোহেল (৩০) ও যাত্রী দীপা, সানোয়ার হোসেন ও হেলাল উদ্দিন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহেল মারা যান। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায়। আহত অন্য ব্যক্তিরা একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে সোহেলের মৃত্যুর খবর জানার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিকলী(কিশোরগঞ্জ): পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিকলী উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী অহিদা বানু (৫৫) সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়িসংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অহিদাকে প্রথমে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে মারা যান অহিদা।

এ ব্যাপারে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোটরসাইকেলটির চালক শামীম মিয়াকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সিলেট: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরের লামাবাজারে মণিপুরি মহল্লার বাসিন্দা শিবানী সিংহ ছেলে প্রান্তিক সিংহকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিকাবীবাজার মোড়ে পৌঁছালে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস। এতে মা-ছেলে ও রিকশাটির চালক আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত প্রান্তিকের বাবা রণজিৎ সিংহ সিলেটের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক যুগভেরীর ফটোসাংবাদিক।

এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে চালককে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হবে।