হকিংয়ের 'দ্য থিওরি অব এভরিথিং'

স্টিফেন হকিং দ্য থিওরি অব এভরিথিং মহাবিশ্বের জন্ম এবং শেষ পরিণতি
স্টিফেন হকিং দ্য থিওরি অব এভরিথিং মহাবিশ্বের জন্ম এবং শেষ পরিণতি

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া সাতটি ভাষণের সমাহার দ্য থিওরি অব এভরিথিং: মহাবিশ্বের জন্ম এবং শেষ পরিণতি। ভাষণগুলো দেওয়ার সময় যেমন, তেমনি ২০০০ সালে ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থাকারে সেটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীমহলে যেমন, তেমনি বিজ্ঞান-অনুসন্ধিৎসু মানুষজনের মধ্যেও। সেই বই বাংলা ভাষায় প্রথম অনুবাদ করেছেন আবুল বাসার। প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন।
এ বইয়ের মুখবন্ধে ড. আরশাদ মোমেন বলেছেন, ‘আবুল বাসারের এ অনুবাদ-প্রচেষ্টা আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লেগেছে। জটিল বিষয়গুলো তিনি সহজ বাংলায় প্রকাশ করেছেন। আমি নিশ্চিত, তাঁর এই কাজ বাংলাভাষী বিজ্ঞানপ্রেমী সমাজে সমাদৃত হবে।’ ভূমিকায় অনুবাদক আবুল বাসার বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘হকিংয়ের লেখা দ্য থিওরি অব এভরিথিং-এ মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের ভাবনার বিবর্তন আলোচিত হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এ বইতেও রয়েছে মানবজাতির ভাবনার আংশিক ইতিহাস। তারপরও তাঁর লেখা এই বই অনেক দিক দিয়েই অনন্য। মাত্র সাতটি লেকচারে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং জটিল বিজ্ঞানের বিষয়গুলো তিনি সর্বসাধারণ পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন সহজ-সরল ভাষায়। বইটিতে মহাবিস্ফোরণ থেকে কৃষ্ণগহ্বর পর্যন্ত মহাবিশ্বের ইতিহাস নিয়ে আমাদের ভাবনার একটা রূপরেখা দিয়েছেন হকিং।’
‘লেখকের ভূমিকা’য় স্টিফেন হকিং প্রতিটি ভাষণের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছেন। প্রথম ভাষণে তিনি মহাবিশ্ব সম্পর্কে অতীতের ধারণাগুলোর পাশাপাশি মহাবিশ্বের বর্তমান রূপটিকেও তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় ভাষণে তিনি মহাকর্ষ সম্পর্কে বিজ্ঞানী নিউটন ও আইনস্টাইনের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ করেছেন মহাবিস্ফোরণ ও মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে। এখানে মূলত কৃষ্ণগহ্বর-সম্পর্কিত বিষয়কে ঘিরে আলোচনা আবর্তিত হয়েছে।
চতুর্থ ভাষণে তিনি কৃষ্ণগহ্বর থেকে শক্তি বেরিয়ে আসার ঘটনাকে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা কীভাবে সমর্থন করে, আলোচনা করেছেন তা-ই নিয়ে। অনুবাদক আবুল বাসার ঝরঝরে ভাষায় বইটি অনুবাদ করেছেন। হকিংয়ের বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় প্রথমার প্যাভিলিয়নে।