হাইকোর্টে বেঞ্চ বাড়ল

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য হাইকোর্টে নতুন দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর একটি বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে হাইকোর্টে বেঞ্চ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়টি।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গঠনসংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব বেঞ্চ ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে ২২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারকাজ পরিচালনা করবে।

নতুন দুটি দ্বৈত বেঞ্চ হচ্ছে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ ছাড়া আগে থেকে বিচারকাজ চালিয়ে আসা বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটির বিচারিক এখতিয়ার পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। আগের আদেশে এই বেঞ্চ ৫ এপ্রিল থেকে অ্যাফিডেভিট/দায়ের করা বিষয়গুলো গ্রহণ করবেন বলে বলা হয়েছিল। নতুন আদেশে ৫ এপ্রিলের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাইকোর্টে বিচারকাজ পরিচালনায় ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চের মধ্যে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চসহ তিনটি ছিল দ্বৈত এবং একটি একক বেঞ্চ।

অপর দ্বৈত বেঞ্চগুলো হলো বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। অপর বেঞ্চটি হচ্ছে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ বাড়ানোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেছে। সমিতির একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনটি পৌঁছে দেন বলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন।

আবেদনে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে আপনার প্রতি প্রত্যাশা, আপনি আইনজীবীদের আর্থিক ঝুঁকি এড়াতে ও কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ বৃদ্ধির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়, যা আজ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ অবস্থায় ২০ এপ্রিল তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।