হাতি-মশার উৎপাত, প্রতিকার চাইলেন দুই সাংসদ

জাসদের মঈন উদ্দীন খান বললেন, রাজধানীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। সরকারি দলের রুহুল আমিন জানালেন, তাঁর এলাকা কুড়িগ্রামে বন্য হাতির উৎপাত বেড়েছে। দুজনই এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন।
সংসদে আজ বৃহস্পতিবার অনির্ধারিত আলোচনায় দুই সাংসদ এ দাবি করেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ রুহুল আমিন বলেন, তাঁর এলাকায় প্রতি সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তের গেট খুলে দেয়। খোলার পর ৭০-৮০টি হাতি নেমে আসে এবং বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতি ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি তাণ্ডবলীলা দেখেছি। এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।’
মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘আমাদের একজন সাংসদ বড় প্রাণীর কথা বলেছেন। যার আসা-যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। এসে আমাদের এখানে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে আমি বলব ক্ষুদ্র প্রাণী মশাকে নিয়ে।’ তিনি একটি কোম্পানির তৈরি করা মশার ওষুধের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, এক দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। পরের দিন আরও ২৫ জন। ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সময় দেখি গাড়িগুলো এমনভাবে ওভারটেক করে যেন এখনই দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সারা দেশে একই অবস্থা।
এ-সংক্রান্ত আইন সংস্কারের দাবি করে নুরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির সময়ে আইন করা হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলন করে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন যে আইন রয়েছে তার প্রয়োগ নেই। সরকারের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, তাঁরা গাড়িচালকদের সভাপতি ও সম্পাদক। তাঁরা কি এদিকে দৃষ্টি দেবেন না?
সরকারি দলের আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বিদেশে কর্মসংস্থানের নামে নারী পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি ৩৫ বছরের আগে কোনো নারী কর্মী যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।