হাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য কামরুজ্জামান
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর নতুন উপাচার্য পেতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। সপ্তম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যোগদান করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম কামরুজ্জামান। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক কামরুজ্জামানকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য হিসেবে তাঁর মেয়াদ চার বছর। উপাচার্য পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মো. কামরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
নতুন উপাচার্য এম কামরুজ্জামান ১৯৯৭ সালে চাকরিজীবনের শুরুতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে নতুন উপাচার্য কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে যোগদানের চিঠি পেয়েছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। চলাচলের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যোগদান করব।’
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক মু. আবুল কাশেম। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চাকরিপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা চাকরিসহ বিভিন্ন দাবিতে এবং মাস্টাররোলে কর্মরত ৭২ জন কর্মচারী চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেন তৎকালীন উপাচার্য। কিন্তু বিষয়গুলোর সমাধান না করেই স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার অধ্যাপক বিধান চন্দ্র হালদারকে রুটিন দায়িত্ব দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক মু. আবুল কাশেম।