হামলার শঙ্কায় ভোটাররা চার স্তরের নিরাপত্তা

নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে শঙ্কায় আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের ভোটাররা। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই আসনের তিন উপজেলায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে শঙ্কা আরও বেড়েছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে।
নাচোল উপজেলা পরিষদ, রেলস্টেশনসহ চার জায়গায়, গোমস্তাপুরের দুই জায়গায় এবং ভোলাহাটের দুই জায়গায় ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়। এর মধ্যে গোমস্তাপুর বাজার এলাকায় বিস্ফোরণে দুজন আহত হন। যেহেতু এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে নির্বাচন হচ্ছে; তাই ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, ভোটের মাত্র দুই দিন আগে এই বিস্ফোরণে কেউ হতাহত না হলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন পোলিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাও ভোটকেন্দ্রর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, ভোট দিতে অন্যরা না গেলেও তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকেরা যাবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশিদ আলম বলেন, ‘যেহেতু একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে নির্বাচন  হচ্ছে, তাই ভোটারদের মধ্যে ভয় আছে। কিন্তু আমার সমর্থক ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ভোটের দিন সেনা মোতায়েনসহ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। দুষ্কৃতকারীরা ভোটকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে—সেটা মাথায় রেখেই কড়া নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানান, ভোলাহাটের ৩৩, গোমস্তাপুরের ৬৬ ও নাচোলের ৫৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ও ৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও বিএনএফের প্রার্থী আলাউদ্দীন লড়ছেন।