হাসপাতালে ফেলে স্বজন লাপাত্তা, রোগীর মৃত্যু

জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের এক রোগীকে তাঁর এক স্বজন হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে আনেন। পরে চিকিৎসকেরা ধারণা করেন, ওই ব্যক্তি (৬০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কথা শুনে ওই রোগীকে হাসপাতালের মাঠের এক কোণে রেখে দ্রুত পালিয়ে যান সেই স্বজন। পরে ওই রোগী মারা যান। ঘটনাটি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার মল্লিকপুরে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দত্তপাড়ায় আল মুবিন রোড এলাকায় তাঁর ভাগনের বাসায় আসেন। শনিবার দুপুরে ভাগনের বউ তাঁকে নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তির উপসর্গ দেখে সন্দেহ করেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য চিকিৎসকেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন, তাঁকে অক্সিজেন দেন এবং নেবুলাইজড করে বাসায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ওই নারী রোগীকে বাসায় না নিয়ে হাসপাতালের মাঠের এক কোণে বসিয়ে রেখে চলে যান। এরপর আর কোনো খোঁজ নেননি। অসুস্থ ওই ব্যক্তি শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুবীর সরকার মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই রোগী মারা যাওয়ার পর উপস্থিত লোকজন বিষয়টি আমাদের জানান। আমরা তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না, তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ওই রোগী দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে এসেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’