হোম কোয়ারেন্টিনের পুলিশের নির্দেশ তুলে দিল প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারকে পুলিশের দেওয়া হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ তুলে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম ওই নির্দেশ তুলে দেন।

ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, লোকজন উত্তেজিত থাকার কারণে পুলিশ ওই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাই ওই পরিবারের ওপর পুলিশের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা তুলে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই পরিবারের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে ওই বৃদ্ধ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছেন। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা ওই পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছি তারা স্বাভাবিক নিয়মে সবকিছু করতে পারবে।’

মারা যাওয়া বৃদ্ধের ছেলে আবদুল কাদির প্রথম আলোকে জানান, ‘হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনার কারণে পরিবারের নয়জন ঘরে অবরুদ্ধ ছিলাম। বিকেলে হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা তুলে নেওয়ায় আমরা এখন স্বাভাবিকভাবে সমাজে চলাচল করতে পারছি।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার উপজেলার চনপাড়া বস্তির বাসিন্দা ও একটি কোম্পানির নিরাপত্তা প্রহরী বৃদ্ধ হাবিবুর রহমানের (৬০) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতে গতকাল বুধবার পুলিশ ওই পরিবারকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল।