১০ জেলায় ২৮ মামলায় আসামি সাড়ে ৯ হাজার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত বুধবার থেকে দেশের ১০ জেলায় পূজামণ্ডপ, মন্দিরসহ হিন্দুদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় ২৮টি মামলায় অজ্ঞাতসহ ৯ হাজার ৫২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ২২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির কয়েকজন নেতাও আছেন।

ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে থানা-পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য পেয়েছেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করে। একটি মামলায় ২০০-২৫০ জন এবং অপর মামলায় ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন জানান, পৃথক দুটি মামলায় প্রায় ৪০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মন্দির ও বসতঘরে দুই দিন ধরে চলা হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ছয়টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৯৩ জনকে।

আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতার অনুসারী ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের নাম রয়েছে। একাধিক মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, হামলাকারী হিসেবে তাঁরা যাঁদের নাম দিয়েছেন, তাঁদের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের দেওয়া নামই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাদীরা লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন। বাদীর দেওয়া অভিযোগই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২ হাজার ৯৫০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ বুধবার রাতে সাতজন ও শনিবার রাতে আটজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

এদিকে এসব হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন সারোয়ারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন জেলা প্রশাসক। আর চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কুমিল্লা নগরে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুর এবং ফেসবুকে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ চারটি ও র‌্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এসব মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জামায়াতের ৩ কাউন্সিলরসহ এজাহারনামীয় ৬২ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামি আছেন ৫০০ জন। এর মধ্যে পুলিশ ৩৯ জনকে ও র‌্যাব একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে নানুয়াদিঘির পাড়ে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন একটি ও জেলা পুলিশ প্রশাসন আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কারা এই কাজ করেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় পূজামণ্ডপে হামলা ও তোরণ ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেক, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ রয়েছে। এসব মামলায় গতকাল পর্যন্ত ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত ও আসামি করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।

সিলেট নগরের দুটি পূজামণ্ডপে গত শুক্রবার দুপুরে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার দিবাগত রাতে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বাদী জালালাবাদ থানার এসআই কাজী জামাল।

সিলেটের জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারে বুধবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছিল। পুলিশ তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় গতকাল ভোরে কালীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর ও দুটি মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়। হামলায় আরও তিনটি মন্দির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা প্রায় এক হাজার। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন জামায়াত নেতাসহ বিএনপির কয়েকজন সমর্থক রয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর এলাকায় তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কাশিমপুর পূজা কমিটি ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৮ জনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য দুজনকে ঘটনার দিন আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। তাঁরা সুস্থ হলে পরে তাঁদেরও রিমান্ড চাওয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষায় দুটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ আসামির মধ্যে ২ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আজ সোমবার আদালতে রিমান্ডের শুনানি হওয়ার কথা। আসামিরা হচ্ছেন কাওসার আলী ও নাঈম আহমেদ।

তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার দিন বুধবার রাতেই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ভোরে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এজাহারনামীয় কাওসার আলী, নাঈম আহমেদসহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আগের হামলা-মামলার সুরাহা হয়নি

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা দেশে এর আগেও ঘটেছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বরিশাল সদর, বানারীপাড়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসে।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় ১৮টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছিল। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার কয়েক শ পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গৌরনদী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রণব রঞ্জন দত্ত জানান, ওই সময়কার সহিংসতার ঘটনাগুলোয় কোনো মামলা হয়নি। তবে তৎকালীন সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশন সরেজমিন আক্রান্ত মানুষজনের বক্তব্য নিয়েছিল এবং ফৌজদারি মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছিল। পরে কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।

২০০১ সালে নির্বাচন–পরবর্তী অত্যাচার-নির্যাতন ভোলাতেও হয়েছিল। জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী বলেন, ওই সময় কয়েকটি মামলা হয়। নিম্ন-আদালত এসব মামলার রায় দিয়েছেন। তবে কারও শাস্তি হয়েছে কি না, জানা যায়নি।

এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুক পেজে ধর্ম অবমাননার ছবিকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ পল্লিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩৪টি বসতি ধ্বংস করা হয়। পরের দিন উখিয়া ও টেকনাফের আরও সাতটি মন্দির ও বিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়। এর মধ্যে এক ব্যক্তির করা একটি মামলা আপসমূলে নিষ্পত্তি হয় কয়েক বছর আগে। পুলিশের করা ১৮টি মামলা কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজসহ বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। ঘটনার ৯ বছরে একটি মামলারও বিচারকাজ শেষ হয়নি।

যশোরের অভয়নগরের মালোপাড়ার বাসিন্দারা ব্যাপক সহিংসতার মুখে পড়েছিলেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন। ওই দিন সন্ধ্যায় জামায়াত ও বিএনপির আড়াই থেকে তিন শ নেতা-কর্মী মালোপাড়ায় অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা ১০-১৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তাঁরা শতাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান।

হামলার প্রায় এক বছর পর যশোর জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১০০ জন নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রজরাজ দাস নামে এক যুবকের ফেসবুক পেজ থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর। ঘটনার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন নাসিরনগর সদরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব হামলার ঘটনায় আটটি মামলা করা হয়। হামলার ১৩ মাস পর আট মামলার একটিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে হরিপুরের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান ও সদরের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেমসহ ২২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাঁদের দুজনকে প্রথমে মনোনয়ন দেয়। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশে সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, দেশে ততই এ রকম বিধ্বংসী ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চলবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই। কুমিল্লার ঘটনার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যান্য স্থানে এটি ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেত।’

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও প্রতিনিধি, ফেনী, চাঁদপুর, কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর]