১১ লঞ্চঘাটে পন্টুন নেই যাত্রীদের ভোগান্তি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ১১টি লঞ্চঘাটে পন্টুন নেই। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জোয়ারের সময় পানিতে ভিজে ও ভাটার সময় কাদা পার হয়ে তাদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
গত ২১ জুলাই সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, গাইয়াপাড়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, ডিগ্রি, চরমোন্তাজ, চরমণ্ডল, গহীনখালী ও নিজকাটা লঞ্চঘাটে কোনো পন্টুন নেই।
চালিতাবুনিয়া মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন চালিতাবুনিয়া। এখানকার বাসিন্দাদের উপজেলা কিংবা জেলা সদরসহ দেশের যেকোনো এলাকায় যাতায়াত করতে হলে নৌপথ ছাড়া গতি নেই। অথচ এ ইউনিয়নের তিনটি লঞ্চঘাট চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া ও গরুভাঙ্গার কোনোটিতেই পন্টুন নেই। এ কারণে সারা বছরই এ এলাকার যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।’
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের নিজকাটা লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, পন্টুন না থাকায় জোয়ারের সময় হাঁটুসমান পানি পার হয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হচ্ছে।
বড়বাইশদিয়ার তক্তাবুনিয়া গ্রামের মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘাটে জোয়ারের সময় পানিতে ভিজে ও ভাটার সময় কাদা পার হয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হচ্ছে।
চরমোন্তাজের ব্যবসায়ী মো. সবুজ মিয়া বলেন, এ এলাকা মাছের ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু চরমোন্তাজ লঞ্চঘাট ও চরমণ্ডল লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় এলাকার যাত্রীসহ মাছ ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার গাইয়াপাড়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, ডিগ্রি ও গহীনখালী লঞ্চঘাটে দুর্ভোগের একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন লঞ্চঘাটে পন্টুনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ইতিমধ্যে চরমোন্তাজ লঞ্চঘাটের জন্য একটি পন্টুন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেটি স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য লঞ্চঘাটগুলোর জন্যও পন্টুনের ব্যবস্থা করা হবে।’