১৪ দিন পর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

নীলফামারী
নীলফামারী

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ১৪ দিন পরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার এক যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ওই যুবকের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

নিহত যুবকের নাম বাবলু মিয়া (২৫)। তিনি পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতা সীমান্তের তিনবিঘা করিডর ফটকে বাবুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। ৫১ বিজিবির উপস্থিতিতে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ ভারতের ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাছ থেকে বাবলু মিয়ার লাশ নেন।

ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, লাশ নেওয়ার সময় বাংলাদেশের ৫১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইসাহাক মণ্ডল ও ৫১ বিজিবি পানবাড়ি ক্যাম্পের সুবেদার তাহাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন ৪৫ বিএসএফের উপ-অধিনায়ক এস ওয়াই খেঙ্গারুসহ আরও কয়েক সদস্য।

তবে আহত অবস্থায় বিএসএফের কাছে আটক থাকা স্কুলছাত্র সাইফুল ইসলামকে (১৪) ফেরত দেয়নি বিএসএফ। সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে এবং পূর্ব ছাতনাই উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

লাশ নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন নিহত বাবলু মিয়ার বাবা নূর মোহাম্মদ ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান। এ ছাড়া আহত স্কুলছাত্র সাইফুল ইসলামের বাবা গোলজার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, ৩ সেপ্টেম্বর ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে বাবলু মিয়া ও সাইফুল ইসলাম গরুর জন্য পার্শ্ববর্তী পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ভারতীয় সীমান্তে ঘাস কাটতে যান। এ সময় দুজনের সঙ্গে গরু দেখে ভারতীয় উড়াল ক্যাম্পের টহল দলের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ওই গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবলু মিয়া। আহত হয় স্কুলছাত্র সাইফুল ইসলাম। ঘটনার পরপরই হতাহত ব্যক্তিদের নিজেদের হেফাজতে নেয় বিএসএফ।