২০ বছরেও নির্মাণ হয়নি বাস টার্মিনাল

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাবাজার এলাকায় স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে বিভিন্ন সময় পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়রের অবহেলার কারণে আজও টার্মিনালটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সরিষাবাড়ীতে স্থায়ীভাবে বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। ২০ বছর পার হলেও পৌর মেয়রের অবহেলায় জায়গা নির্বাচন ও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু হয়নি। বর্তমানে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিমলাবাজার এলাকায় প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে এক একর ৫০ শতাংশ জায়গায় স্বাধীনতার পর থেকে অস্থায়ী বাস টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই জমির ৭৫ ভাগ সরকারি এবং ২৫ ভাগ ব্যক্তিমালিকাধীন।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাওলানা নূরুল ইসলাম, ২০০১ সালে স্থানীয় বিএনপির সাংসদ ও তৎকালীন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবীর তালুকদার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাংসদ মুরাদ হাসান স্থায়ী বাস টার্মিনাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন করেননি। এভাবে বরাদ্দের অর্ধকোটি টাকা পৌরসভার সঞ্চয়ী হিসাবে প্রথমে সরিষাবাড়ী অগ্রণী ব্যাংক শাখায় এবং পরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সরিষাবাড়ী শাখায় জমা রখা হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান বাস টার্মিনাল নিচু জায়গায় হওয়ায় বর্ষাকালে হাঁটুপানি জমে। এতে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ জন্য প্রধান সড়কের ওপর বাস রাখা হচ্ছে।
সরিষাবাড়ী টাউন বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, পৌরসভার মেয়রের অবহেলায় স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, মেয়রের অবহেলায় ব্যক্তিমালিকাধীন জমি সরকারিভাবে হুকুম দখল না হওয়ায় টার্মিনাল নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র ফয়জুল কবীর তালুকদার জানান, শিগগিরই জেলা ভূমি হুকুম দখলকারী শাখায় পত্র দেওয়া হবে।
জামালপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। এ ব্যাপারে জেনে বলতে হবে।’