প্রশিক্ষণ বিমানের অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
২১ সালের মধ্যে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন

আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিমানবাহিনীকে একটি সুসজ্জিত, শক্তিশালী ও দক্ষ বাহিনীতে পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের মধ্যে এ বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার সম্ভাব্য সব সহায়তা দেবে। খবর বাসসের।
গতকাল বুধবার কুর্মিটোলায় বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে সদ্য কেনা কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশা প্রকাশ করে বলেন, এই নতুন এয়ারক্রাফটের অন্তর্ভুক্তি বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বমানে উন্নীত করবে এবং সেই সঙ্গে বাহিনীকে নিরাপদ ও গতিশীল করবে। নতুন প্রজন্মের কারিগরি যন্ত্রপাতি ও উন্নত ব্যবস্থাপনা বাহিনীর দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বাড়াবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানবাহিনী শিগগির অত্যাধুনিক এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার, পিটি-৬ এয়ারক্রাফট, এলইটি-৪১০ এয়ারক্রাফট, এডব্লিউ-১৩৯ হেলিকপ্টার ও ওয়াইএকে-১৩০ এয়ারক্রাফট পাবে।
অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্তিকরণ আদেশ উইং কমান্ডার শরীফ মোস্তফার কাছে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে এক চৌকস কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে নতুন অভিষিক্ত কে-৮ ডব্লিউ এয়ারক্রাফটের বর্ণাঢ্য উড্ডয়ন প্রত্যক্ষ করেন তিনি।
কে-৮ ডব্লিউ বুনিয়াদি ও অগ্রসরমাণ প্রশিক্ষণের জন্য চীনের তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান। এটি এ বিমানের আগের সংস্করণের চেয়ে উন্নততর। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক উড্ডয়ন সরঞ্জাম।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল মো. ইনামুল বারী ও এয়ার কমোডর এম ওবায়দুর রহমান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, রাষ্ট্রদূতেরা, নৌবাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এসএএম এফএম ৯০ সংগ্রহ করাসহ একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বিমানবাহিনী গড়তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যশোরে বঙ্গবন্ধু বিএএফ একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্র এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের আকাশসীমায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে কক্সবাজারে একটি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা রাডার স্থাপন করা হয়েছে।