অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে ১১তম গ্রেডে বেতন এবং সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তাঁরা কাজ করছেন। অথচ মাত্র ১৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষক চাকরি জীবনে একবার পদোন্নতি পান। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ২০০৯ সাল থেকে ওই পদোন্নতিও বন্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো: বর্তমান জাতীয় বেতন স্কেলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০ টাকা) নির্ধারণ, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন করে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি নির্ধারণ, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা এবং নন-ভোকেশনাল বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি জসিমউদ্দিন সরকার, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।