৩ কোটি টাকা পরিশোধের বিষয়টি নিষ্পত্তিতে সময় পেল এসএস স্টিল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অনুকূলে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ৩ মাস সময় পেয়েছে এসএস স্টিল লিমিটেড।

পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সময়ের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানালে আদালত ওই সময় দেন। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার শুনানি হয়। আদালত আগামী ৩ মে পরবর্তী দিন রেখেছেন।

ধার্য তারিখে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, তাঁর ছেলে এহসান-ই-মোয়াজ্জেম এবং ই-সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও গ্রেট ওয়ালস ল্যান্ড প্রোপার্টি লিমিটেডের প্রতিনিধিকে আসতে হবে। এসএস স্টিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগেন হ্যাফেনকেও সেদিন আসতে হবে। মোয়াজ্জেমের পরিবারের সদস্য ফারজানা মোয়াজ্জেমকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এক আবেদনের ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অনুকূলে ওই শেয়ার ফেরত বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে এসএস স্টিল লিমিটেড, পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্য এবং তাঁর মালিকানাধীন দুই কোম্পানিসহ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মিলে ছয়জনকে তলব করেন। এ অনুসারে আজ মোয়াজ্জেমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আদালতে হাজির হন। আর অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খান ওই আবেদন করেন।

আদালতে পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়কের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও মুরাদ রেজা। এসএস স্টিল লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ কাউছার আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ২০১৫ সালে এসএস স্টিল লিমিটেডের আইপিও (ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) শেয়ার কেনার জন্য ৬ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এসএস স্টিল লিমিটেড ২০১৮ সালে আইপিও অনুমোদন পায়।

এরপর ওই টাকার বিপরীতে ১০ টাকা মূল্যের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার পিপলস লিজিংয়ের অনুকূলে স্থানান্তর করে। তবে বাকি ৩১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার (৩ কোটি ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকা) পিপলস লিজিংয়ের অনুকূলে স্থানান্তর না করে এম মোয়াজ্জেম হোসেন সংশ্লিষ্ট বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসেবে স্থানান্তর হয়। তিনি তখন পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন।