৫ কেন্দ্রে ঘণ্টায় ভোট ২২২, পাওয়া যায়নি বিএনপির এজেন্ট

বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রের বাইরের চিত্র
ছবি: জুয়েল শীল

শীতের সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের ভিড় দেখা গেছে। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পাঁচটি  কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এক ঘণ্টায় (৯টা থেকে ১০টা) ভোট গ্রহণ হয়েছে ২২২টি।

সকাল সাড়ে ৯টায় হামজার বাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের ভিড়। বুথের সামনে হাতে গোনা ভোটার। কেন্দ্রে এক থেকে দুজন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেন্দ্রটিতে বুথ রয়েছে ছয়টি। একটিতেও বিএনপি–সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টদের দেখা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ২ হাজার ২৫১ ভোটার রয়েছে। এখানে এক ঘণ্টায় ৬২ ভোট পড়েছে।

পাশের রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই অবস্থা। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ২ হাজার ৯০২ ভোটের মধ্যে গ্রহণ হয়েছে ৪২টি। ওই কেন্দ্রেও বিএনপি–সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট নেই। একইভাবে জে বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সুনির্মল চৌধুরী বলেন, ২ হাজার ৭৭৩ ভোটের মধ্যে এক ঘণ্টায় সাতটি বুথে ভোট পড়েছে ৫০টি। সেখানে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের ভিড় রয়েছে। লালিয়ার হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৩৩৯ জন। এর মধ্যে এক ঘণ্টায় ভোট গ্রহণ হয়েছে ৬৬টি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি
ছবি: প্রথম আলো

লালখান বাজার ওয়ার্ডের বার্ডস কিন্ডারগার্টেন স্কুল কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ৩ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে এক ঘণ্টায় গ্রহণ হয়েছে ২০টি। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কবির হোসেন বলেন, বাইরে হট্টগোল হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হলেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী হলেন শাহাদাত হোসেন। এ সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২৩২ জন প্রার্থী। এবার ভোটারসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। নগরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে পূর্ব বাকলিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় বাতিল হয় আলকরণ ওয়ার্ডের ভোট। বাকি ৩৯ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।