৫১ প্রার্থীর সাতজন স্কুলের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র থেকে ৫১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে স্বাক্ষরজ্ঞান থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারীও রয়েছেন।
১৯ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকের নিচে। সাতজন প্রার্থী আবার স্কুলের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার এ চিত্র পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এ আসনের বিএনপির প্রার্থী সরকার শহিদুল ইসলাম স্নাতক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবু মিল্লাত হোসেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী দাওয়ারে হাদিস ও সালামত হোসেন খান এসএসসি পাস।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, বিএনপির প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন বিকম সম্মান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জাহিদ হোসেন খান এমএসসি, ইসলামী আন্দোলনের এস এম শামছুর রহমান এইচএসসি, বিকল্পধারার মনিরুল ইসলাম স্নাতক ও জাকের পার্টির এনামুল হক এইচএসসি পাস।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান স্নাতক, বিএনপির লুৎফর রহমান খান এইচএসসি, বিএনএফের আতাউর রহমান খান বিএসএস সম্মান, ইসলামী আন্দোলনের রেজাউল করিম দাওয়ারে হাদিস, এনপিপির এস এম চান মিয়া এসএসসি, তরীকত ফেডারেশনের আবু হানিফ অষ্টম শ্রেণি পাস এবং জাকের পার্টির খলিলুর রহমান স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান এইচএসসি, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের লিয়াকত আলী টেক্সটাইল প্রকৌশলে স্নাতক, স্বতন্ত্র আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমএ, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক সিদ্দিকী বিবিএস, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সৈয়দ মোস্তাক হোসেন এসএসসি পাস এবং ইসলামী আন্দোলনের মির্জা আবু সাঈদ স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন স্নাতক, বিএনপির মাহমুদুল হাসান স্নাতক প্রকৌশলী, জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনির এমবিএ, স্বতন্ত্র মুরাদ সিদ্দিকী স্নাতক ও আবুল কাশেম বিএসসি, বিএনএফের শামীম আল মামুন বিএ এবং ইসলামী আন্দোলনের খন্দকার ছানোয়ার হোসেন ও খেলাফত আন্দোলনের খালেদ মোস্তফা এসএসসি পাস।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আওয়ামী লীগের আহসানুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমবিএ, বিএনপির গৌতম চক্রবর্তী এলএলবি, তরীকত ফেডারেশনের আনোয়ার হোসেন এমএসএস, ইসলামী আন্দোলনের আখেনুর মিয়া এইচএসসি, এনপিপির মামুনুর রহমান এসএসসি এবং স্বতন্ত্র আশরাফুল ইসলাম ব্যারিস্টার অ্যাট ল ও আবুল কাশেম বিএসসি পাস।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের একাব্বর হোসেন এমএসএস, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী স্নাতক, জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম মাস্টার্স, ইসলামী আন্দোলনের শাহীনুল ইসলাম এসএসসি এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের রূপা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ও খেলাফত মজলিসের সৈয়দ মজিবর রহমান স্বশিক্ষিত। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের আওয়ামী লীগের জোয়াহেরুল ইসলাম এমএ, এলএলবি, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কুঁড়ি সিদ্দিকী এলএলবি, ইসলামী আন্দোলনের আবদুল লতিফ মিয়া কামিল ও জাতীয় পার্টির আশরাফ সিদ্দিকী আলীম পাস এবং এনপিপির শফি সরকার স্বশিক্ষিত।
এসব প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগারিক (সুজন) টাঙ্গাইল শাখার সহসভাপতি বাদল মাহমুদ বলেন, যাঁরা রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করবেন তাঁদের আরও বেশি শিক্ষা থাকা দরকার। তবে শিক্ষা মানে শুধু সার্টিফিকেটধারি শিক্ষা নয়। সার্টিফিকেটের চেয়ে মানুষটির ভেতর জ্ঞানের আলো কতটা আলোকিত, সেটি দেখার বিষয়।