৯৯.৮% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
ফাইল ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধায় আনার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় চলে এসেছে। মুজিব বর্ষেই এটি শতভাগ হবে।

‘লিভিং দ্য লাইট: বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম স্টোরি’ শিরোনামে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন কথা জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

অনলাইনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুই কোটি প্রান্তিক মানুষকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে সারা দেশে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশের সফলতার এ গল্প সারা বিশ্বের জানা উচিত।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে প্রণোদনা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উৎস হচ্ছে সৌরশক্তি। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে, যার ২৫০ মেগাওয়াট এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অফগ্রিড এলাকায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেম থেকে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গত ১৫ বছর ধরে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়েছে বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম। দেড় দশকের অভিজ্ঞতা বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে স্থাপিত ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াটের নতুন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। সারি সারি সৌর প্যানেল
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম ও রান্নায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার কার্যক্রমের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, এ অভিজ্ঞতার আলোকে সাব সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে সোলার হোম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে সফল হতে সহযোগিতা করতে পারে। প্রকাশিত বইটি সবার জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করেন বক্তারা।

অনলাইন এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াং টেম্বন। এতে আরও বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল রিনিইউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (আইরিনা) উপ-মহাপরিচালক গৌরি সিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও ইডকলের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ মালিক প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এনার্জি স্পেশালিস্ট অমিত জৈন।