'অভ্যুত্থান' ঢাকাতেই হয়েছে, চট্টগ্রামে নয় (পরের অংশ )

অপরাধী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ
আমি মনে করি, জেনারেল এরশাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের বিচার স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এর ভিত্তি হবে পেশাদারির ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ ও যোগ্য প্রসিকিউশন।
আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি পবিত্র ব্যাপার। যদিও তথাকথিত সেই চট্টগ্রাম বিদ্রোহের ঘটনায় যে তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের এরশাদ নির্যাতন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন, তাঁদের তিনি এ অধিকারের সুযোগ দেননি। কিন্তু যে অধিকার এরশাদ তাঁদের দেননি, ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁকে সেই অমূল্য অধিকারটি দিতে হবে।
মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এমন আরও অনেকে থাকতে পারে, যাদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়নি। আমার ধারণা, আমার সাক্ষী যে ব্যক্তির নাম বলেছিলেন, তিনি অভিযোগপত্রে নেই। কথিত আছে, সেই ব্যক্তিই মঞ্জুরকে হত্যা করেন। তিনি একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। মঞ্জুরকে হত্যা করতেই তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। আবার মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডে একমাত্র তিনিই নন, আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারেন। এ অভিযোগ সত্য হলে যে ব্যক্তিটি ট্রিগার চেপেছিলেন, তিনি একাই নিশ্চয়ই সবকিছু করেননি।
তদুপরি ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আমার সেই সোর্সই এ ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নন। মঞ্জুরের সেলে সেই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে অনেকেই প্রবেশ করতে দেখেছেন। তাঁর সেই প্রবেশাধিকারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভয়ের কারণে অনেকে গত ৩০ বছরে মুখ খোলেননি। এই ভীতি দূর করার মতো একটি পরিস্থিতি কি সৃষ্টি হয়েছে বা তা কি সৃষ্টি করা সম্ভব? যাঁরা এ হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন, এভাবে তাঁদের পার পাওয়ার সময় কি শেষ হবে?
বড় একটি পরিবর্তনের সময় এসেছে। নিম্ন আদালতে এ মামলাটি যেভাবে পরিচালনা করা হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচারকে প্রহসন করা হয়েছে। আর যাঁরা এটি পরিচালনা করেছেন, তাঁরা নিজের পেশার সঙ্গে গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। দুই দশকে ২২ জন বিচারক এ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। পরে আবার তাঁদের অন্য দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে মামলাটিকে নিয়ে খেলাধুলা চলছেই।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খোলাখুলিই বলা হচ্ছে যে এই মামলাটিকে জেনারেল এরশাদের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিনিময়ে এরশাদ সরকারকে তাঁর পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এই আশায়, যাতে মামলাকে পুরোপুরি হাওয়া করে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মঞ্জুরের ভূত এরশাদকে তটস্থ করে রেখেছে। এ মামলার সমাপ্তি নেই।
সম্প্রসারণশীল বাজারে পণ্যের মূল নির্ধারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বারবার যা মার খেয়েছে, তা হলো নৈতিকতা। আর এই পণ্য হচ্ছে ন্যায়বিচার। এর বিকিকিনি হয়েছে বন্ধ দরজার অন্তরালে। বাংলাদেশে একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানই এই পণ্যের বাজার বন্ধ করে দিতে পারে, সেটি হলো সুপ্রিম কোর্ট।
‘জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট’ হলে সুপ্রিম কোর্ট যেকোনো মামলাকে নিম্ন আদালত থেকে তাঁর ক্ষমতাবলে সরিয়ে নিতে পারেন। এই মামলাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এই মামলার মধ্যে বাংলাদেশে এক দশকের সামরিক শাসনের বীজ নিহিত রয়েছে। মঞ্জুরের হত্যকাণ্ড সেই বীজের প্রাণকেন্দ্র। এই মামলাটি যদি ‘জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট’ মামলার আওতায় না পড়ে, তাহলে আর কোন মামলা পড়তে পারে, তা আমি জানি না। হয়তো অন্য কোনো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড রয়েছে।
তাদের পিতা ‘খুনি’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’—এই অশেষ কানাকানিতে চারটি সন্তান বাংলাদেশ ছেড়েছে। এই ফিসফিস তাদের প্রতিনিয়ত আহত করেছে। এটি তাদের স্কুলে তাড়া করে ফিরেছে। যে বাসায় তারা গেছে, সেখানে তাড়া করেছে। তাদের অনেক পুরোনো বন্ধুও এ কারণে তাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ কীভাবে ‘মিথ্যার ভাইরাস’-এ আক্রান্ত হয়েছে, তা সত্যিই খতিয়ে দেখার মতো বিষয়। কিন্তু এই মিথ্যার বলি হয়েছে এক নির্দোষ মানুষের সন্তানেরা। তাদের পিতাকে যথাযথভাবে সমাধিস্থ করার অধিকার তাদের দিতে হবে। এরপর বাকি জীবনটা নির্বিঘ্নে যাপন করার জন্য যে দেশে তাদের ঘর, সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তন করতে দিতে হবে।
মঞ্জুরের আসল ‘অপরাধ’, সামরিক শাসনের পাঁয়তারা করা ক্ষমতামদমত্ত কিছু মানুষের তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। আসলে সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন স্বল্পসংখ্যক গণতন্ত্রমনা ‘সংবিধানপন্থী’দের একজন, যেমন ছিলেন জেনারেল মইনও, যাঁরা কখনোই আইয়ুব খানের বাংলাদেশি কোনো সংস্করণকেই বঙ্গভবনের মসনদে আসীন দেখতে চাননি, তা সে জিয়া বা এরশাদ যে নামেই হোক না কেন। উপরন্তু তাঁরা ছিলেন ক্যান্টনমেন্টভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দলের উত্থানের বিরোধী। এটা কি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য অভিশাপ হয়ে ওঠেনি? পাকিস্তানের জন্যও কি এটা এখনো অভিশাপ নয়? এ দুই ব্যক্তি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তাঁরা গণতান্ত্রিক দেশে পেশাদার সেনাবাহিনীর পক্ষে ছিলেন।
পরিশেষে, মঞ্জুরের বিধবা স্ত্রী মার্কিন মুলুক থেকে কখনোই দেশে ফিরতে চান না। কারণ, কখনোই তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করেন না। তাঁর স্বামীকে হত্যাকারী পার পেয়ে গেছে। সাক্ষ্য-প্রমাণও তা-ই বলে।
হয়তো আরেকটি পথ খোলা আছে। সে পথ গিয়ে ঠেকেছে সুপ্রিম কোর্টে। মঞ্জুরের ভাই বা তাঁর সন্তানেরা আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে নিম্ন আদালতের অন্তহীন জাল থেকে মামলাটি বের করে আনার আবেদন করলে, তা অনুমোদন করা উচিত। গত ২০ বছরে এই মামলাটি সেখানে আশা-প্রত্যাশাহীনভাবে মাটিচাপা পড়েছে।
তাহেরের মামলায় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি জাকির হোসেন অনন্য নজির স্থাপন করে দেখিয়েছেন যে ঘটনার বহু বছর পরও কীভাবে একটি মামলার নিষ্পত্তি করা সম্ভব। তাঁরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে জটিল বিষয়গুলোর তদন্ত ও সাক্ষী নির্বাচন করে তাঁদের আদালতের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রয়োগ করার মতো বিপুল ক্ষমতা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের হাতে রয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য জরুরি মনে করলে আদালত তা করে থাকেন। তাহের ও মঞ্জুর হত্যা মামলা এক রকম নয়।
তাহেরের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু বলা হয়েছে, সেটি ছিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক। উপরন্তু সেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের বিধান সুনির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল। আদালত মত দিয়েছিলেন, সেই বিচারটি নিজেই ছিল একটি অপরাধ। সেটি ছিল একটি অবৈধ বিচারপ্রক্রিয়া। সে কারণে তাহেরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ছিল হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।
মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। এটি এখনো একটি চলমান বিচারপ্রক্রিয়া। ২০ বছর চলার পরও এখনো পর্যন্ত এ মামলায় কোনো রায় দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের অসামান্য এক অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল হক ১৯৯০-এর দশকের প্রথম ও মধ্যভাগে এ মামলার এক পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তপ্রক্রিয়ার সূচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যুর পর সেসবের আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এয়ার ভাইস মার্শাল সদরুদ্দীনের মতো মানুষদের সাক্ষ্য সবে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এটি যে সম্ভব হয়েছে, তার পেছনে আছে সেই সময়ে আমিনুল হকের অভিভাবকসুলভ সতর্ক পদক্ষেপ। সর্বোচ্চ আদালতের হাতে এই মামলার সূত্রগুলো একত্র করে জেনারেল আবুল মঞ্জুরের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা আছে।
মঞ্জুর হত্যা মামলা বাংলাদেশের বিবেককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এটা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা-ই এখন দেখার বিষয়।

‘জেনারেল এরশাদ, আমি কি জানতে পারি, আপনি কোন পরিকল্পনার কথা বলছেন?’
এয়ার ভাইস মার্শাল সদরুদ্দীনের সাক্ষ্য
মঞ্জুর হত্যা মামলায় ২৫ মার্চ ১৯৯৫ সিআইডিকে দেওয়া জবানবন্দির চুম্বক অংশ

‘তাঁরা আমাকে বলেন যে এখানে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে [জিয়া হত্যাকাণ্ডে] ফাঁসানোর একটা পরিকল্পনা চলছে’
৩১ মে ১৯৮১
আমি এয়ার ভাইস মার্শাল সদরউদ্দীন (অব.), সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান।...সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় আমাকে জানানো হয় যে জেনারেল এরশাদ টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলবেন। আমি টেলিফোন ধরি। জেনারেল এরশাদ আমাকে আগের রাত্রে চিটাগাং সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার সংবাদ দেন এবং দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। আমি কিছুক্ষণ পর ঢাকার উদ্দেশে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হই এবং আনুমানিক ১০টার সময় ঢাকায় ফিরে আসি।
আমি সরাসরি আর্মি হেডকোয়ার্টারে সেনাপ্রধানের অফিসে যাই। আমি তাঁর অফিসে গিয়ে বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন আর্মি অফিসারকে তাঁর অফিসে দেখি। তাঁদের মধ্যে মেজর জেনারেল মীর শওকত আলী, মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল মান্নাফ, মেজর জেনারেল নূরউদ্দীনসহ অন্য আরও কিছু আর্মি অফিসারকে দেখি। সেখানে তাঁরা চিটাগাংয়ে প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। জেনারেল এরশাদ আমাকে ঘটনা দ্রুত জানালেন। আমি সেখানে আনুমানিক ২০ মিনিট ছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে আসার পথে মেজর জেনারেল শওকত ও মেজর জেনারেল মইন আমার পেছনে পেছনে আসেন। আসার পথে করিডরে তাঁরা আমাকে বলেন যে এখানে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে ফাঁসানোর একটা পরিকল্পনা চলছে।
......

‘স্যার, দয়া করে নিশ্চিত করুন যাতে মঞ্জুরের কিছু না হয়’
১ জুন ১৯৮১
বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার সময় আমি বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির [বিচারপতি আবদুস সাত্তার] অফিসে ছিলাম। তখন সেখানে লে. জেনারেল এরশাদও ছিলেন। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এই সময় টেলিফোন আসে। প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট টেলিফোন রেখে জানান, আইজিপি কিবরিয়া জানিয়েছেন যে মেজর জেনারেল মঞ্জুর এবং অন্যরা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
সংবাদটি বলার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে জেনারেল এরশাদ উত্তেজিত অবস্থায় চেয়ার থেকে উঠে পড়েন। আর কিছু না বলে সরাসরি প্রেসিডেন্টের পাশে রেড টেলিফোনের কাছে যান এবং একটি নাম্বারে ডায়াল করেন। টেলিফোনে তাঁর যে কথাটি শুনতে পেলাম তা হলো, ‘মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করেছে। এক্ষুনি তাঁকে নিয়ে নাও। তারপর পরিকল্পনামতো কাজ করো।’ বলেই তিনি টেলিফোন রেখে দেন।
তখন আমি বলি, ‘জেনারেল এরশাদ, আপনি কোন পরিকল্পনার কথা বলছেন, আমি কি জানতে পারি?’ এতে তিনি আবার বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘এয়ার চিফ, আপনি কিছুই বোঝেন না।’ আমি বলি, ‘আমি কী বুঝি না বুঝি, আপনার কাছ থেকে জানতে হবে না।’
পরে আমি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে বলি, ‘স্যার, দয়া করে নিশ্চিত করুন, যাতে মঞ্জুরের কিছু না হয় আর তিনি ন্যায্য বিচার পান। মঞ্জুরের কিছু হলে জাতির কাছে আপনাকে জবাব দিতে হবে।’ এর উত্তরে সাত্তার সাহেব বিচার করা হবে বলে জানান।
......

‘আপনারা জেনারেল মঞ্জুরকে মেরে ফেললেন’
২ জুন ১৯৮১
ভোর রাত্রি আনুমানিক দেড়টা-দুইটার দিকে উইং কমান্ডার কামাল, ডিরেক্টর, এয়ার ইন্টেলিজেন্স, টেলিফোনে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের হত্যার খবর দেন। আমি সকাল আনুমানিক ছয়টা-সাতটার সময় এরশাদ সাহেবকে টেলিফোনে বলি, ‘এরশাদ সাহেব, আপনারা জেনারেল মঞ্জুরকে মেরে ফেললেন।’ (শেষ)

অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন

লরেন্স লিফশুলৎজ
ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউর (হংকং) দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি দ্য গার্ডিয়ান, লে মঁদ দিপ্লোমাতিক, দ্য নেশন (নিউইয়র্ক) ও বিবিসির পক্ষে লিখেছেন। তিনি বেশ কিছু বই রচনা ও সম্পাদনা করেছেন; এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ: দি আনফিনিশ্ড্ রেভল্যুশন, হিরোশিমা’জ শ্যাডো ও হোয়াই বসনিয়া?
[email protected]