'আল্লাহর কাছে ছেলেকে ভিক্ষা চেয়েছিলাম'

‘আল্লাহর কাছে আমি ছেলেকে ভিক্ষা চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। ছেলেকে ফিরে পেয়েছি, এটাই আমার শান্তি।’
আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বসে এসব কথা বলেন আবু বকর সিদ্দিকের মা মঞ্জুরা জলিল।
কার্যালয়ের ভেতরে ছেলে আবু বকর ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাইরে ছেলের অপেক্ষায় রোদের মধ্যেই বসে আছেন মা। বয়স তাঁর ৭০ পেরিয়েছে।
জীবনের এই প্রান্তে এসে ছেলের জন্য ৩৫ ঘণ্টা ধরে চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাতে হয়েছে মাকে। ছেলে মুক্ত হওয়ার খবর শুনেই ছুটে গেছেন ধানমন্ডি থানায়। বুকে জড়িয়ে ছেলেকে আদর করে শান্ত হয়েছেন তিনি। প্রথম আলোকে আজ তিনি বলেছেন এ অভিজ্ঞতার কথা।
মা মঞ্জুরা জলিল বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমি জানতে পারি ছেলে ফিরে এসেছে। দেরি না করে ছুটে যাই। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে আদর করি।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে কেন অপহরণ করা হয়েছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। সৃষ্টিকর্তাই জানবেন কেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সংসারের ব্যাপারে মেজো ছেলে আবু বকরের ওপর বেশি ভরসা করেন বলে জানান মঞ্জুরা জলিল। তিনি বলেন, ‘ও-ই আমার সংসারের ভরসা। পুরো সংসারটা ওই বেশি দেখভাল করে।’ চুপচাপ স্বভাবের ছেলে আবু বকরের শত্রু থাকতে পারে না উল্লেখ করে মা বলেন, ‘আমার জানামতে ছেলের কোনো শত্রু থাকার কথা নয়। সে খুব কম কথা বলে। মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলে। যখন শুনেছি যে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে, তখন আমি একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা রেখেছি। বিশ্বাস ছিল ছেলে ফিরে আসবে। ছেলে ফিরে আসাতেই আমি খুশি।’