'খারাপ মানুষ যা করে তা করা যাবে না'

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে।  সংগৃহীত
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে। সংগৃহীত

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, রুচিহীন, দুর্নীতিপরায়ণ ও মূল্যবোধহীন মানুষ যা করে তার উল্টোটা করতে হবে। চারপাশে খারাপ মানুষের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। এসব খারাপ মানুষ যা করে তা কখনো করা যাবে না। তবেই আলোকিত মানুষ হওয়া যাবে।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী উৎসবে প্রধান  অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী দুই পর্বের এই পুরস্কার বিতরণী উৎসব নগরের সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের আয়োজক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

এতে অধ্যাপক আবু সায়ীদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষ দুই রকম। উচ্চতর আর নিম্নতর। তোমরা নিশ্চয়ই উচ্চতর মানুষ হতে চাও। আমরা যার নাম দিয়েছি আলোকিত মানুষ। তোমাদের অবশ্যই আলোকিত মানুষ হতে হবে।’

উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ ছাড়া অতিথি ছিলেন শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, অধ্যাপক আলেক্স আলীম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাহেদুল কবির চৌধুরী, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল হেড অব অপারেশনস ফিরোজ উদ্দিন ও চট্টগ্রাম লেখক-সাহিত্যিক সংগঠনের মহাপরিচালক অরুণ শীল।

এতে মেয়র নাছির বলেন, দেশ প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রাকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বই পড়ার কারণে যারা পুরস্কার অর্জন করেছে, তাদের শুভেচ্ছা জানাতে হয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সত্যিকারের আলোকিত মানুষ হতে গেলে বইকে অবলম্বন করতে হবে। আর বই পড়ার এ অভ্যাস অবশ্যই শিক্ষার্থীদের বজায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৮৮টি স্কুলের ৫ হাজার ২১০ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমপর্বে ৪৪টি স্কুলের ২ হাজার ৬০৬ জন এবং দ্বিতীয় পর্বে ৪৪টি স্কুলের ২ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রছাত্রী পুরস্কার গ্রহণ করে। পুরস্কার হিসেবে তাদের জন্য ছিল বই।