'গুগলে কাজ করব, না হয় গুগল বানাব'

প্রোগ্রামিংয়ের ক্যাম্প
প্রোগ্রামিংয়ের ক্যাম্প

প্রোগ্রামিং ক্যাম্পে সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য হচ্ছে ধানমন্ডির স্কলার্স স্কুল থেকে আসা ১৩ বছর বয়সী অনন্য আরেফিন। ক্যাম্পে নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে অনন্য বলল, ‘আমি প্রথমে স্ক্র্যাচ, তারপর সি প্রোগ্রামিং শিখি। আমার স্বপ্ন গুগলে চাকরি করা অথবা গুগলের মতো একটি প্রতিষ্ঠান দেশেই প্রতিষ্ঠা করা।’

গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার লালমাটিয়ায় শুরু হয়েছে আন্তস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিংয়ের ক্যাম্প। সেখানেই কথা হয় অনন্যর সঙ্গে। দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে ও তাদের দক্ষতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও প্রথম আলো যৌথভাবে এই ক্যাম্পের আয়োজন করে। সারা দেশে বাছাইপর্বসহ বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্ব হয়েছিল গত বছরের ২ নভেম্বর। সে পর্বে বিজয়ী ও আমন্ত্রিতদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে ক্যাম্প পর্ব।

ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর (ল্যাব) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার মাত্র একটি। শিক্ষার্থী প্রায় আড়াই শ। একটি কম্পিউটার দিয়েই তারা প্রোগ্রামিংয়ের মতো দুরূহ বিষয় শেখে। অথচ এই স্কুলের একটি দল গেল বছর জাতীয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় নবম স্থান অধিকার করেছিল। গতকাল আন্তস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি কম্পিউটার দেওয়া হয়। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জি এম মারুফ প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।

প্রোগ্রামিং ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি কম্পিউটার পায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তাদেরও কোনো কম্পিউটার নেই। তবে বিদ্যালয়টির প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থীর প্রোগ্রামিং শিখতে প্রবল আগ্রহ। ধার করা ল্যাপটপ দিয়ে তারা প্রোগ্রামিং শেখে বলে জানান স্কুলটির সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান।

তিন দিনের প্রোগ্রামিং ক্যাম্পে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ বিভিন্ন শিক্ষক ও সফল প্রোগ্রামাররা এ কদিন শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেবেন। ক্যাম্পে অংশ নেওয়া খুদে প্রোগ্রামাররা জানায়, তারা প্রোগ্রামিং করে বিশ্বজয় করতে চায়। এর জন্য কেউ কেউ তৃতীয় শ্রেণি থেকেই প্রোগ্রামিং শিখছে।

ক্যাম্পের উদ্বোধনীতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘তরুণেরা জ্ঞান, শিক্ষা, যোগ্যতা, দক্ষতা অর্জনে এগিয়ে যাবে, এটাই আমরা চাই। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গার ছেলেমেয়ে চাইলেই দেশে এমনকি বিশ্বে শ্রেষ্ঠ হতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) সাবা এল কবির।