'তথ্য আপা' আস্তে আস্তে সব উপজেলায় যাবে
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, ‘তথ্য আপা’ শুধু ১৩টি উপজেলায় নয়, ২১৩টি উপজেলায় যাবে। আস্তে আস্তে তথ্য আপার বিস্তার ঘটবে প্রতিটি উপজেলায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মূল্যায়ন-বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ এ কথা বলেন। ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায় আগামী ডিসেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে। পরে আবার তা নতুন কলেবরে শুরু হবে বলে জানান তিনি। বর্তমানে প্রকল্পটি ১৩টি উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থা। তথ্য আপারা ল্যাপটপ হাতে নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের কাছে তথ্য পৌঁছে দেন।
জাতীয় মহিলা সংস্থা আয়োজিত এই সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল শব্দটি প্রথম শোনার পর প্রথম দিকে মনে হয়েছিল এ আবার কী। তবে এখন তা প্রায় হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তবে তৃণমূলের অনেক নারীর কাছে এখন পর্যন্ত কম্পিউটার, ট্যাব অপরিচিত। এই জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারেন তথ্য আপারা। বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য নির্যাতন বন্ধেও তথ্য আপারা সহায়তা করতে পারেন।
সেমিনারে তথ্য আপা প্রকল্পের মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্য আপা প্রকল্পের তথ্য আপাদের মানুষ ইতিবাচকভাবে দেখে। প্রকল্প এলাকায় নারীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত জ্ঞানও অন্য এলাকার নারীদের তুলনায় বেশি। ‘নলেজ, অ্যাটিচ্যুড অ্যান্ড প্র্যাকটিস রিগার্ডিং আইসিটি বাই দ্য রুরাল উইমেন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়া ১৩টি উপজেলার পাশাপাশি ৩৯টি উপজেলার মোট ২ হাজার ৩৪০ জন নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম। সেমিনারে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন, তথ্য আপা প্রকল্পের মীনা পারভীন বক্তব্য দেন।