'নিরাপত্তার শঙ্কায়' প্রেসক্লাব থেকে গেলেন রাজু ভাস্কর্যে, আরেক শিক্ষার্থীর অবস্থান

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ। সংহতি জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুরা। রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ। সংহতি জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুরা। রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন এক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী। আরিফুল ইসলাম ওরফে আদীব নামের ওই তরুণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তরে (৪৩ ব্যাচ) অধ্যয়নরত। এদিকে সীমান্ত হত্যার সুরাহার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী।

চার দফা দাবিতে আজ শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে আরিফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন শুরু করেন। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ‘নিরাপত্তার’ কারণে সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে অনশনে বসেন তিনি।

এর আগে আজ বিকেল পাঁচটা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সীমান্ত হত্যার সুরাহার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী নাসির আবদুল্লাহ। আরিফুল সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। আরিফ জানান, তিনি একক সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচিতে বসেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর সংগঠনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

আরিফের দাবিগুলো হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সব হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা। ভারতকে সীমান্তে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জাতীয় সংসদে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে।

আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে হামলার সময় তিনিও ভিপি নুরুল হকের সঙ্গে আহত হন। চিকিৎসক তাঁকে তিন মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। বিশ্রামের এক মাস শেষ হয়েছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে বিবেকের তাড়না ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় তিনি এ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আরিফ বলেন, ‘আমার এই চার দফা দাবির প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসার আগপর্যন্ত অনশন ভাঙব না।’

প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রাজু ভাস্কর্যে কেন গেলেন—এমন প্রশ্নে আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা এসেছিলেন। তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে সেখানে রাতে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসেছি। সকালে সম্ভবত আবারও প্রেসক্লাবের সামনে যাব। এখনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিইনি।’