'বন্ধু কী খবর, কেমন আছিস?'

প্রায় এক দশক পরে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রিয় বন্ধু আবু শাহিনের সঙ্গে দেখা শরিফুল ইসলামের। কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন তাঁরা। রেজিস্ট্রেশন বুথে দেখা হওয়ামাত্রই উচ্চ স্বরে চিৎকার, জড়িয়ে ধরা, পিঠ চাপড়ানো। করমর্দনরত অবস্থায় শুরু হলো আলাপচারিতা। ‘খবর কিরে তোর?’, ‘কেমন আছিস বন্ধু?’, ‘কী করছিস তুই?’। একজন জবাব দিলেন, ‘আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেটা জেএসসি দেবে সামনে। আর মেয়েটা ফাইভে পড়ছে।’

আজ শুক্রবার দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে দিনভর ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল ‘বন্ধু কী খবর, কেমন আছিস?’ এই সংলাপ। সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ মুখরিত হতে শুরু করে নবীন-প্রবীণের উপস্থিতিতে। তাঁরা রেজিস্ট্রেশন বুথে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে গায়ে জড়িয়ে নেন নীল রঙের টি-শার্ট।

বেলা ১১টার দিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল বাছেদ মণ্ডলসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান রজব আলী মোল্লা বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে রজতজয়ন্তীর উদ্বোধন করেন। মুহুর্মুহু করতালির সঙ্গে বেজে ওঠে ব্যান্ড পার্টি আর ভুভুজেলা। শোভাযাত্রায় অংশ নেন সবাই। দুই হাজারের বেশি নবীন-প্রবীণের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহরের সুইহারি মোড়, মির্জাপুর এলাকা ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এ সময় শোভাযাত্রায় ‘যদি চান বাঁচতে, গাছ লাগান আজকে’, ‘গাছ লাগিয়ে ভরব দেশ, গড়ব সুখের পরিবেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ফেস্টুন উঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগানোর স্লোগান দেন তাঁরা।

র‌্যালি শেষে বিজ্ঞান ভবনের সামনের মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. জাহেদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাছেদ মণ্ডল। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বিভাগীয় প্রধান রজব আলী মোল্লা, রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জন মহন্ত, কলেজশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দাইমুল ইসলাম, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন, বাবুল হোসেন এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জলিল আহমেদ প্রমুখ।