'মুছাপুর ক্লোজার' একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন: মন্ত্রী

ছোট ফেনী নদীর ভাঙনে কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য পরিবার ঘর-বাড়ি, ফসলের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। গৃহহারা মানুষের জন্য ‘মুছাপুর ক্লোজার’ একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। গতকাল বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে ছোট ফেনী নদীতে নির্মিত ‘মুছাপুর ক্লোজার’ দেখতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, মুছাপুর ক্লোজার নির্মিত হওয়ায় এখন নদীর ভাঙন বন্ধ হবে, লবণাক্ত পানির হাত থেকে রক্ষা পাবে চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার ১৪টি উপজেলার প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি। এর ফলে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার হেক্টর মেট্রিকটন। অনুষ্ঠানে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন ওবায়দুল কাদের।
ক্লোজারটির নির্মাণকাজের সফলতা দেখতে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসিফ আহমেদ আনসারী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান বক্তব্য দেন।
গত ২৯ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১০০ মিটার দীর্ঘ মুছাপুর ক্লোজারের (নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধের বিশেষ ব্যবস্থা) নির্মাণকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
ক্লোজার এলাকায় আয়োজিত গতকালের অনুষ্ঠানে পাউবোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বাস্তবায়নের ফলে প্রকল্প এলাকায় বার্ষিক অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন।