
‘দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে সুশাসনের লড়াইটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুর্নীতি প্রতিরোধে সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখা সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সনাক-টিআইবির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে ওই সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরিন আক্তার। টিআইবির কার্যক্রম তুলে ধরেন টিআইবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবুল কালাম মো. রেজাউল কবির। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এজাজ ইউসুফী, সনাক সদস্য অধ্যাপক সুলতান উল আলম, অধ্যাপক তহুরীন সবুর, রওশন আরা চৌধুরী, কাজী রুনু বিলকিস ও ফরহাদ উল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্যে শিরিন আক্তার বলেন, ‘কারও যদি সৎ থাকার সদিচ্ছা থাকে তাহলে কেউই তাঁকে অন্যায়ের দিকে ধাবিত করতে পারে না, তিনি সৎভাবেই থাকতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘টিআইবি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এককভাবে বাংলাদেশে সক্রিয় অবস্থানে আছে। কোনো ধরনের চোখরাঙানি টিআইবির কাজকে দমাতে পারেনি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে টিআইবি বাংলাদেশে যে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন পরিচালনা করছে, তাতে সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সনাক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘দুদককে অনেকে নখদন্তবিহীন বলে, এটি অমূলক নয়। দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে সুশাসনের লড়াইটি জড়িত। সুশাসন না থাকলে দুর্নীতি রোধ করা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ায় অনেক দুর্নীতি কমে এসেছে। আগে হাসপাতালে রোগী দেখার জন্য কিংবা সনদের ভুল ঠিক করতে টাকা গুনতে হতো। এখন তা অনেক কমেছে। তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের কারণেই এটি হয়েছে। দুর্নীতি হয়তো শতভাগ নির্মূল হবে না। কিন্তু লাগাম টেনে ধরা যাবে। এই কাজে সাংবাদিকেরা ভূমিকা রাখতে পারেন।
সামাজিক আন্দোলন হিসেবে দুর্নীতি প্রতিরোধে টিআইবি একটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে, উল্লেখ করে এজাজ ইউসুফী বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি যেদিন সম্ভব হবে সেদিন দুর্নীতি নির্মূল হবে। দুর্নীতিবিরোধী কাজগুলোকে এগিয়ে নেওয়া সাংবাদিকদের দায়িত্ব।