আধুনিক সব সুবিধায় ভরা, শোনা যাবে বৃষ্টির শব্দ

KHALED

আপনি যখন উত্তরার রূপায়ন সিটির ভেতরে ঢুকবেন, তখন মনে হবে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার মতো কোনো দেশে চলে গেছেন। ফ্ল্যাট, রাস্তাঘাট, ফোয়ারা, স্কুল, মসজিদ—সবই ঝকঝকে। সেখানে সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার, হাঁটার পথ, বই পড়ার লাউঞ্জ, সিনেমা হল, হল রুম, শপিং মল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্যাটেলাইট ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লাব, ফুড কোর্ট, সুপারশপ মিলিয়ে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। দেখলেই মনে হয়, এ যেন শহরের ভেতর আরেক শহর। এমনকি কেউ যদি বৃষ্টির আওয়াজও শুনতে চান, সেই ইচ্ছেও পূরণ হবে। কারণ, সেখানে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম রেইন ফরেস্ট।

২০১৬ সালে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন এলাকায় ১৩৫ বিঘা জমির ওপর রূপায়ন সিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। প্রকল্পের ধরন প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি। প্রকল্পটিতে ৮০ বিঘার মতো জায়গা খালি রাখা হয়েছে। বাকি জমির ওপর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। মোট ফ্ল্যাট হবে ১ হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির ক্রেতার উপযোগী ফ্ল্যাট আছে। অর্থাৎ মোটামুটি ভালো মানের ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও আছে। কাজ শুরুর পাঁচ বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির রূপায়ন ম্যাজেস্টিক জোনের ৩১৫টি ফ্ল্যাট আগামী মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের কাছে বুঝি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে রূপায়ন সিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, মূল ফটক পেরিয়ে কিছুটা এগোলেই রয়েছে স্কুল ভবন, মসজিদ ও কমিউনিটি ক্লাব। এর পরেই আবাসিক এলাকা। চারদিকে ছিমছাম পরিবেশ।

রূপায়ন সিটিতে রয়েছে চারটি ফেজ। এর মধ্যে তিনটি আবাসিক ও একটি বাণিজ্যিক জোন। ফেজ-৪–এ আছে রূপায়ন ম্যাজেস্টিক জোন। সেখানে ১৬ বিঘা জমির ওপর ১১টি ১০তলা ভবন গড়ে উঠেছে। ফ্ল্যাটের আকার ২ হাজার ১৪০ বর্গফুট থেকে ২ হাজার ৮৩০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম ১১ হাজার ৮০০ টাকা। ফেজ-৪ পার হলেই ফেজ-১। এই ফেজে ২৪ বিঘা জমির ওপর ২১টি ১০তলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে মোট ফ্ল্যাট হচ্ছে ৫৪০টি। এই এলাকার ফ্ল্যাটের আকার ২০০০ থেকে ২৫০০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম ১২ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এসব ফ্ল্যাট ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই দুটি ফেজের প্রতিটিতেই সুইমিংপুল, মিলনায়তন ও ব্যায়ামাগার রয়েছে।

রূপায়ন সিটির সবচেয়ে অভিজাত ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলো নির্মিত হচ্ছে রূপায়ন ‘স্কাই ভিলা’য়। এটির নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভবনগুলো দাঁড়িয়ে গেছে। এসব ভবনের বিভিন্ন তলায় ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের মতো পরিবেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রস্তুত করা কয়েকটি ভবন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফ্ল্যাটগুলোতে আভিজাত্যের ছোঁয়া আছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের চারপাশ গাছগাছালিতে ভরপুর থাকবে। ৩০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা স্কাই ভিলার ভবনগুলোতে সব মিলিয়ে ২৬০টি ফ্ল্যাট হবে। প্রতি বর্গফুটের দাম ১৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতিটি ভবনের টপ ফ্লোরে ‘পেন্ট হাউস’ নামের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট হচ্ছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য আলাদা সুইমিংপুল থাকছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৫০০০ থেকে ৭৫০০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের দাম ১৭ হাজার ৮০০ টাকা।

এ ছাড়া স্কাই ভিলার নিচতলায় নানা সুবিধা থাকবে। যেমন সুইমিংপুল, বাচ্চাদের সুইমিংপুল, কফিশপ, ব্যায়ামাগার, ছোটখাটো অনুষ্ঠান করার হল। বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য থাকছে আলাদা লাউঞ্জ। বইপড়ুয়াদের জন্য আলাদাভাবে বই পড়ার লাউঞ্জও আছে। এমনকি হঠাৎ করে কারও যদি বৃষ্টির শব্দ শোনার ইচ্ছে হয়, সেই শখ পূরণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, দিনটা রোদেলা হলে কিংবা যখন–তখন বৃষ্টি আসবে কোথা থেকে? এর উত্তর হলো, রূপায়ন সিটির স্কাই ভিলার প্রতিটি ভবনের নিচতলার একাংশে কৃত্রিম ‘রেইন ফরেস্ট’ বানানো হচ্ছে। সেখানে এমন আবহ তৈরি করা হচ্ছে যে গাছগাছালির ওপর বৃষ্টি পড়ার শব্দ শোনা যাবে।

এ ছাড়া রূপায়ন সিটির বাণিজ্যিক এলাকায় নির্মিত হবে শপিং মল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছোটখাটো স্যাটেলাইট ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লাব, ফুড কোর্ট, সুপারশপ ইত্যাদি।