রবি-এয়ারটেল হচ্ছে 'রবি'

রবি-এয়ারটেল
রবি-এয়ারটেল

ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেল। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে অপারেটর দুটি। রবি ও এয়ারটেলের পাঠানো এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে রবি-এয়ারটেলের মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ও ভারতের এয়ারটেলের মধ্যে আজ এই চুক্তি হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রবি-এয়ারটেলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এ চুক্তি হলো। একীভূত কোম্পানিটি ‘রবি’ নামেই ব্যবসা পরিচালনা করবে। এতে রবির মালিকানা থাকবে ৭৫ শতাংশ আর এয়ারটেলের মালিকানা থাকবে ২৫ শতাংশ।

প্রায় চার কোটি গ্রাহক নিয়ে একীভূত অপারেটরটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটর। বর্তমানে পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন আর তিন কোটি ২৮ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলালিংক। গ্রাহকসংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও আয়ের দিক থেকে এখনই বাজারের দ্বিতীয় স্থানে আছে রবি।

রবি আজিয়াটা মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ও জাপানের এনটিটি ডোকামোর যৌথ উদ্যোগ। এখানে আজিয়াটার শেয়ারের পরিমাণ ৯২ শতাংশ আর এনটিটি ডোকোমোর শেয়ারের পরিমাণ ৮ শতাংশ। ১৯৯৭ সালে একটেল নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে রবি। বাংলাদেশের শিল্প গোষ্ঠী একে খান গ্রুপ ও টেলিকম মালয়েশিয়ার যৌথ অংশীদারি কোম্পানি ছিল একটেল। ২০০৯ সালে একে খান গ্রুপ ও টেলিকম মালয়েশিয়া আজিয়াটার কাছে রবির মালিকানা বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ ‘রবি’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে এয়ারটেল। 

ভারতি এয়ারটেল ২০১০ সালে ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার এক লাখ ডলারের বিনিময়ে কিনে নিয়ে এয়ারটেল বাংলাদেশ নামে ব্যবসা শুরু করে। ২০১৩ সালে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে বাকি ৩০ শতাংশ কিনে নেয় ভারতি এয়ারটেল।

রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন বীরাসিংহের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিপূর্ণ টেলিযোগাযোগ খাতে একীভূতকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একীভূতকরণের মাধ্যমে এই খাতের দুই শীর্ষস্থানীয় অপারেটর তাদের সম্মিলিত ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে, যা এই শিল্পের সার্বিক কল্যাণ ও জাতীয় অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।’