উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এফবিআই

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এ ছাড়া এ চুরির পেছনে চীনের দালালদেরও হাত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রিজার্ভের অর্থ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দায়ী করে দেওয়া বক্তব্যের দুদিনের মধ্যে এ খবর পাওয়া গেল।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, এ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা জড়িত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে, রয়টার্স ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর দিয়েছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনা সম্পর্কে জানেন এমন কর্মকর্তাদের সূত্র থেকে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ফেডারেল আইনজীবীদের বিশ্বাস চীনা দালালেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুট করতে পিয়ংইয়ংকে সাহায্য করেছে। এই মামলাটি দায়ের হলে শুধু নির্দিষ্ট কয়েকজন নর্থ কোরীয় কর্মকর্তা নন, পুরো দেশটাই জড়িয়ে যাবে। চীনের মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোও অভিযোগের আওতায় চলে আসবে। এই মামলার পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভ পর্যায়ে দালালি ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও ভাবছে মার্কিন কোষাগার।
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আসপেন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক গোলটেবিলে এনএসএর উপপরিচালক রিক লেজেট নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির পেছনে উত্তর কোরিয়ার কম্পিউটার হ্যাকার জড়িত ছিল। এ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে আর ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত এসেছে।