এক জাহাজে সোয়া দুই কোটি লিটার সয়াবিন তেল

বাজারে অনেক দোকানেই বর্তমানে সয়াবিন তেল নেই।ছবি: সংগৃহীত

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তেল নিয়ে পৌঁছেছে একটি জাহাজ। গত বৃহস্পতিবার জাহাজটি বন্দরে পৌঁছানোর পর পুরোদমে খালাসও চলছে। এই জাহাজে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল রয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজটিতে এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটিতে আমদানি করা সয়াবিন তেল খালাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। খালাস শেষে কাল বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

তেল আমদানির পর প্রথমে পতেঙ্গা এলাকায় কাস্টমস বন্ডেন্ড ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হয়। আর শুল্ককর পরিশোধের পর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করে কোম্পানিগুলো। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় কারখানাগুলো নিয়মিতই এখন ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করছে।

জাহাজটিতে সয়াবিন তেল আমদানিকারক সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, তেল আমদানির পর তা দ্রুত পরিশোধন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সিটি গ্রুপের তেল বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দেশে অপরিশোধিত আকারে সয়াবিন তেল আমদানি হয়। আবার আমদানি করা বীজ মাড়াই করে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। গত অর্থবছরের হিসাবে, অপরিশোধিত আকারে প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয় ৬৫ হাজার টন। এ হিসাবে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল দিয়ে অন্তত ১০ দিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। আর্জেন্টিনা রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড হয়। দেশেও দাম না পেয়ে আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। আবার ঈদের পরে দাম বাড়বে, এমন চিন্তা থেকে মজুতের প্রবণতাও শুরু হয়। তাতে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়।