কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে গ্রামীণ ক্রেতাদের ভিড়
ঈদ যত এগিয়ে আসছে, কিশোরগঞ্জ সদরে ঈদের বাজার তত জমে উঠছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রচুরসংখ্যক গ্রামের মানুষ ছুটে আসায় জেলা শহরের মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
শহরের ঈশা খাঁ সুপার মার্কেট, নিরালা টাওয়ার, আনোয়ারা সুপার মার্কেট, রুমা সুপার মার্কেট, খালেক মার্কেট, নতুন বাজার, ঈশা খাঁ রোড, বড়বাজার ও তেরিপট্টির মার্কেটগুলোয় বৈচিত্র্যময় শাড়ি-থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, প্যান্ট, ফতুয়া, জুতা, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন ঈদের পণ্য ব্যাপকহারে বেচাকেনা হচ্ছে। এমনকি বৃষ্টির মধ্যেও ক্রেতাদের সমাগমে মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলো মুখরিত থাকে।
জেলা শহরের ঈশা খাঁ সড়কের বিভিন্ন শপিং মল বা বিপণিবিতানের পাকিজা, শাড়িকা, জননী, সাজনী, নারীমেলা, পোশাকমেলা, সিরাজ গার্মেন্টস, সাগরিকাসহ আরও অনেক দোকানের বিক্রেতারা জানান, উচ্চ আয়ের লোকজনই হলো তাঁদের ক্রেতা। এবার বিক্রিও ভালো হচ্ছে। শাড়িকার মালিক বাবুল সাহা জানান, তাঁরা এবার সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা দামের শাড়ি রেখেছেন।
মাঝারি আয়ের অধিকাংশ লোকজনই কেনাকাটা করেন তেরিপট্রি এলাকায়।
মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে। তবে এবার আগের তুলনায় দাম একটু বেশি বলে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন। অন্যদিকে বিক্রেতারা জানান, হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে গত প্রায় এক বছর তাঁদের কোনো ব্যবসা ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে টিকে থাকার জন্য কম লাভে পণ্য বিক্রি করছেন।
টিপটপ সু স্টোরের মালিক গৌতম সরকার বলেন, ‘এবার জুতার চাহিদা বেশ ভালো। তবে ২৭ রোজা থেকে চাঁদ রাত পর্যন্তই জুতা বিক্রি আরও বেড়ে যায়। ওই তিন দিনই আমরা বেশির ভাগ পণ্য বিক্রি করে থাকি।’
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ মোতায়েন করায় এবার চাঁদাবাজদের কোনো উৎপাত নেই। যে কারণে লোকজন অনেক রাত পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন।