কুমারখালীর চাদরের ভাঁজে ঈদের আনন্দ

ঈদে পোশাকের পাশাপাশি কুষ্টিয়াবাসীর আরও একটি জিনিস চাই-ই চাই; আর সেটি হচ্ছে কুমারখালীর চাদর।

নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের প্রায় সবাই পরিবারের জন্য অন্তত একটি বিছানার চাদর কেনেন ঈদের সময়; যেন এই চাদরের ভাঁজে ভাঁজেই তাঁদের ঈদ উৎসবের আনন্দ জড়িয়ে থাকে।

সারা বছর এখানকার চাদরের কদর থাকলেও ঈদ সামনে রেখে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কাছে-দূরের ক্রেতারাও ছুটে আসেন কুমারখালীর তাঁতপল্লিতে। আর তাই ঈদে বাড়তি চাহিদা মেটাতে চাদরপল্লির শ্রমিকেরা এখন বিরামহীন কাজ করে চলেছেন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইস্টার্ন ফেব্রিকস, বুলবুল টেক্সটাইল, রানা টেক্সটাইল, রত্না, বাগদাদ, বেঙ্গলের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চাদর উৎপাদনকারী প্রায় ৫০টি কারখানা রয়েছে।

এবার বেশ কয়েকটি নতুন নকশার চাদর তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন ধরনের চেক ও প্রিন্টের এসব চাদর ৫০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বেডকভার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার টাকায়।

হোসনেয়ারা তামান্না নামের এক গৃহিণী জানান, ঘরের সৌন্দর্য হচ্ছে বিছানার চাদর। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটার পর কুমারখালী গিয়ে বিছানার চাদর কিনেছেন। শহরের আড়ুয়াপাড়ার ফরিদা পারভীন বলেন, বিছানার চাদর না হলে মনে হয়, ঈদের কিছু একটার কমতি আছে।

তবে শুধু দেশ নয়, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এ চাদর; যাচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালিসহ আরও কিছু দেশে।

বুলবুল টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী ইকবাল কবির প্রথম আলোকে জানান, দুই ঈদে চাদরের চাহিদা বেশি হয়। এবারের ঈদে দেশের চাহিদা মিটিয়েও তাঁরা প্রায় ৫০ হাজার পিস চাদর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছেন।