কেউ এখন দায় নিচ্ছে না

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে প্রতারণা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুই বছর আগেই। কিন্তু তখন বাস্তবায়িত হয়নি।

শুধু ইভ্যালি বা ই-অরেঞ্জ নয়, দেশের অন্তত ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কেনা পণ্য দিচ্ছে না। টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে পাওনার বিপরীতে ব্যাংকের চেক দিয়েছে। তবে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় তা ফেরত আসছে।

এই ১২টি প্রতিষ্ঠান যে টাকা দিচ্ছে না, তা বলছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীরা। এর মধ্যে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, নিরাপদডটকম ও এসপিসি ওয়ার্ল্ড রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর বাইরে এখনো মামলা হয়নি এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি—আলেশা মার্ট, কিউকম, দালাল প্লাস, আদিয়ান মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ ও প্রিয় শপ।

এই ১২ প্রতিষ্ঠানের কাছে সব মিলিয়ে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের পাওনা কত, তার কোনো হিসাব নেই। কোনো সরকারি সংস্থা এখনো সে হিসাব করেনি। তবে পুলিশ, র‌্যাব, গ্রাহক ও মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী, ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের ৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা পাওনার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৯৫০ কোটি, ই-অরেঞ্জের ১ হাজার ১০০ কোটি, ধামাকার ৮০৩ কোটি ও এসপিসি ওয়ার্ল্ডের ২৬৮ কোটি টাকা দেনার তথ্য রয়েছে।

গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীরা পাওনা টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিক্ষোভ করছেন। তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সেগুলো বন্ধ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই (বর্তমানে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেশন) প্রকল্পের কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

কেন দায় এড়ানোর সুযোগ নেই তা খুঁজতে ফিরে যেতে হবে দুই বছর আগে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন ‘বেসরকারি খাত উন্নয়নে নীতি সমন্বয় কমিটি’ নামে একটি কমিটির সভায় ই-কমার্স নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

ওই বৈঠকে বলা হয়, ই-কমার্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এটুআই যৌথভাবে ‘এসক্রো সেবা’ চালু করবে। এ ব্যবস্থায় গ্রাহক পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তার আগে জমা থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের কাছে।

তখন কেন এসক্রো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলো না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ দায় আমাদের নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে গত ২৭ জুন, ৩০ জুন আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আগে চিঠি দিলে আগেই করতাম।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠকে জাতীয় উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ব নীতিমালায় ই-কমার্সকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ই-কমার্স ব্যবসার সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগকে। কিন্তু তখন সব দপ্তরই যার যার কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীনকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অনুরোধ জানায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাতেও গা করেনি। জাফর উদ্দীন এখন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলো না—জানতে চাইলে গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ এটুআইয়ের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক আবদুল মান্নানও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ফাঁকে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। ইভ্যালির মতো করে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এখন ১৬টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার নিয়ে অনুসন্ধান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বাইরে আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করছে।

সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, তথ্য চেয়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইভ্যালির দেখানো পথেই অন্যরা

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ৫০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করে ইভ্যালি। বিপুল ছাড়ে তরুণদের পছন্দের বিভিন্ন পণ্য বিক্রির লোভ দেখিয়ে তারা অল্প সময়েই ফুলেফেঁপে ওঠে। একই পথে হেঁটেছে ধামাকা, কিউকম, ই-অরেঞ্জ, দালাল প্লাস, আদিয়ান মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, প্রিয় শপ, নিরাপদ ডটকম, এসপিসি ওয়ার্ল্ডসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।

এসব প্রতিষ্ঠানের সন্দেহজনক ব্যবসা কৌশল যখন রমরমা, তখন বিতর্কিত বহুস্তর বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) ব্যবসা করার অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালের আগস্টে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা সাতটি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এক মাসের জন্য ইভ্যালির হিসাব স্থগিত করে। স্থগিতাদেশ আর বাড়ায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে প্রতারণার আলামত পেলেও কোনো মামলা করা হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনের কাজ শুরু করে অনেক পরে। চলতি বছরের ১৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদন তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির আয়-ব্যয়ের অসংগতি ব্যাপক। যে সম্পদ রয়েছে, তা দিয়ে ১৬ শতাংশ গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ সম্ভব।

অবশেষে গত ৩০ জুন চালু হয় আগে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা ছাড়ের ব্যবস্থা, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সালের নভেম্বরেই। এরপরই গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা পাওনার বিষয়টি বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

প্রশংসা করেছিলেন তাঁরা

ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এখন জেলে। তবে গত ৮ নভেম্বর ইক্যাবের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদক পায় ইভ্যালি। ইভ্যালিই ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান একসময় বাংলাদেশের আলিবাবা, আমাজন হবে।

গ্রাহকেরা বলছেন, মন্ত্রীরা ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করছেন দেখে তাঁরা আস্থা পেয়েছিলেন, বিনিয়োগ করেছিলেন। তাই মন্ত্রীদেরও দায় নিতে হবে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে ফোন করে, খুদে বার্তা দিয়ে, হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে এবং জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ই-মেইল করেও জুনাইদ আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড ‘ধামাকা’ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে ৮০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি করে মামলা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক জসিম উদ্দিন চিশতী, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রোকসানা খানম ও তিন সন্তান। গত ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ‘রুরাল টু গ্লোবাল ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্স’-এর দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপ’ উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

যোগাযোগ করা হলে মোস্তাফা জব্বার গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাপ নিজে খারাপ না এবং যেকোনো ধরনের অ্যাপ বানানোতেই আমরা উৎসাহ দিই। লোভে পড়ে কেউ ক্ষতির শিকার হলে তো অ্যাপ উদ্বোধন কোনো সমস্যা নয়।’

আলাদিনের প্রদীপ ও অন্যরা

গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের টাকা ফেরত না দেওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে ৭টির বিরুদ্ধে এখনো মামলা হয়নি, তার একটি আলাদিনের প্রদীপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (অনার্স) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ওরফে মুন এর প্রতিষ্ঠাতা।

মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কাছে ১ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের পাওনা ছিল ৮৫ কোটি টাকা। এখন বাকি আছে ৫ কোটি টাকা। মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) নগদের কারণে সমস্যা হয়েছে। শিগগির বকেয়া পরিশোধ হয়ে যাবে।

এদিকে সিরাজগঞ্জ শপডটকম লাপাত্তা। গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাহিরগোলা ও এম এ মতিন সড়কে সিরাজগঞ্জ শপডটকমের প্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয় তালাবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আইদুল আবদুল্লাহ বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ গ্রাহকের বিনিয়োগ ৩০০ কোটি টাকা।

তারা বারবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ঘোরাচ্ছে। চেক দিচ্ছে। তবে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় তা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
আবদুল্লাহ মামুন, চার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক

সিরাজগঞ্জ শপডটকমের মালিক জুয়েল রানার বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেড়াবাড়ি গ্রামে গিয়েও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, সমস্যার পেছনে নগদ। তাদের কাছে টাকা আটকে আছে।

অবশ্য নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ম হচ্ছে গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করে টাকা নিয়ে যাবে সিরাজগঞ্জ শপ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ নিজেরা টাকা নিয়ে যাচ্ছিল। এ জন্য তাদের নামে মামলা করেছে নগদ। আলাদীনের প্রদীপের আটকে থাকা টাকার পরিমাণ কম বলে মামলায় যাওয়া হয়নি।

দালাল প্লাসের ধানমন্ডির কার্যালয়ে গিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর শতাধিক গ্রাহককে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায়। তবে উচ্চপদের কর্মকর্তা কেউ ছিলেন না। এর বাইরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আলেশা মার্ট ও প্রিয়শপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। তবে আলেশা মার্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজিল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রিয়শপডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একটা দল গঠন করা হয়েছে, যাঁরা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করছেন। এর আগে কিউকমের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থায় (পেমেন্ট গেটওয়ে) তাদের ৪২০ কোটি টাকা আটকে আছে। তাই গ্রাহককে টাকা দিতে পারছে না।

এদিকে গ্রাহকেরা বলছেন, তাদের দেওয়া চেক ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছে। গ্রাহকদের একজন আবদুল্লাহ মামুন চার ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে ২২ লাখ টাকা পান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তারা বারবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ঘোরাচ্ছে। চেক দিচ্ছে। তবে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় তা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।

‘সমস্যা এত বাড়ত না’

ই-কমার্সের নামে প্রতারণার শিকার গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া যাবে কীভাবে—তার কোনো উপায় জানাতে পারছে না কেউ। এর আগে যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপে টু ইউসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে প্রতারণার শিকার গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাননি। যুবক ও ডেসটিনির তবু সম্পদ আছে; ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর তাও নেই বলে গ্রাহকেরা সন্দেহ করছেন। র‌্যাব বলেছে, ব্যাংক হিসাবে ইভ্যালির টাকা আছে মাত্র ৩০ লাখ। সিআইডি বলছে, ধামাকার ব্যাংক হিসাবে আছে মাত্র ৯৭ হাজার টাকা।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সমস্যা এতটা বাড়ত না।

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ]