চলতি মূলধন ঋণসীমা বাড়ানোর পরামর্শ

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে ব্যবসার। ফলে বর্তমানে চলতি মূলধন ঋণের যে সীমা রয়েছে, তা দিয়ে অনেকে খরচ মেটাতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কাঁচামালের মূল্য পরিশোধেও ব্যর্থ হচ্ছেন। এ জন্য চলতি মূলধন ঋণের সীমা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মঞ্জুরিকৃত চলতি মূলধন ঋণসীমার সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য পরিশোধসহ উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানিসহ চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে, উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখা এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখার জন্য চলতি মূলধন ঋণসীমা প্রয়োজন অনুযায়ী যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ ঝুঁকি হ্রাস করে এবং গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করে এ সীমা বাড়ানো যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু প্রকৃত ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়েছেন। যাঁরা ব্যাংক থেকে টাকা চেয়েও পাচ্ছেন না। এ জন্য সীমা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে ব্যাংকাররা বলছেন, আমদানি ঋণের সীমা বাড়ানোর সুযোগ কম। কারণ, বাকিতে আমদানির ঋণের ব্যবসা অনেকটা ঝুঁকিতে চলে গেছে। পণ্য এলেও অনেকে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।