চার বছরে ৮০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছে

বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশের জন্য বিদেশি ঋণ খুবই প্রয়োজন। কারণ, এসব ঋণের সুদ হার কম ও দীর্ঘমেয়াদি। বাংলাদেশে গত চার বছরে ৮০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছে। রেটিং স্থিতিশীল থাকায় বাংলাদেশের আরও অনেক ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সুযোগ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সম্মেলনের মূল প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আবরার এ আনোয়ার। হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) গতকাল রোববার এ সম্মেলনের আয়োজন করে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আইসিএবি কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল খায়ের চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট কামরুল আবেদিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এইচ খসরু। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এ বি এম আজিজ উদ্দিন।
মূল প্রবন্ধে আবরার এ আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন দেশ হতে সরকারি পর্যায়ে ঋণ সহায়তা নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিদেশি ঋণ গ্রহণ করে। এখন বিদেশি ঋণ গ্রহণ করছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাংলাদেশ বিমান। বেসরকারি খাতও এখন বিদেশ থেকে ঋণ নিতে খুব আগ্রহী। আন্তর্জাতিক বিদেশি ঋণদাতা অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বাংলাদেশকে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে।
বিদেশি ঋণ গ্রহণের বেশ কয়েকটি পন্থা তুলে ধরে আবরার এ আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ বড় কিছু কেনার ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে সম্পদভিত্তিক অর্থায়ন গ্রহণ করতে পারে। এসব ঋণে সুদের হারও কম হয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুবিধা পাওয়া যায়। এটা হতে পারে কোনো বড় জাহাজ বা বিমান কেনার ক্ষেত্রে। ঋণ পরিশোধ না হলে যে প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করবে, তারা সহজেই জাহাজ বা বিমান আটকে রাখতে পারে। এ কারণে এসব ঋণে সুবিধাও বেশি।
কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন তৈরিতে হিসাববিদদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শ দেন আবরার এ আনোয়ার। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, বিদেশ থেকে ঋণ সুবিধা নিতে হিসাববিদদের ভূমিকা আছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ না হলে সে প্রতিষ্ঠান সহজে বিদেশ থেকে ঋণ সুবিধা পাবে না। তাই প্রতিবেদন তৈরিতে হিসাববিদদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।