জিএসপি নিয়ে ট্রাম্পের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকবে না, আশা তোফায়েলের

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান মার্কিন সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল। তিনি আশা করেন, জিএসপি পুনর্বহালের জন্য নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘জিএসপি পুনর্বহালের জন্য ১৬টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ তা পূরণ করেছে। আমাদের জিএসপি ফেরত না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

আজ রোববার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি-টিকফার বৈঠক আগামী বছরের মার্চ কিংবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। গত বছর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত টিকফার দ্বিতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বরে ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। আজকের বৈঠকটি এ বিষয়ে হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আমরা যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানায় যাই, শ্রমিকেরা বলেন, আমরা ভালো আছি। আমার কাছে শ্রম অধিকারের বিষয়টি একটি অস্পষ্ট বিষয় বলে মনে হয়। তবে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স আমাদের কারখানার কর্মপরিবেশ ভালো বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে।’

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো নেত্রীও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধা-জিএসপির বিরোধিতা করেছিল বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিএসপি থেকে আমরা যে খুব বেশি লাভবান হই তা নয়, এটা দেশের একটি সম্মান। জিএসপি না থাকা সত্ত্বেও গত অর্থবছরে ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি।’