জীবনবিমা কোম্পানির নতুন কাঠামো

জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ ব্যাপারে ১৭ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্থাটি বলেছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কাঠামো কার্যকর হবে। আর ওই দিনই বাতিল হয়ে যাবে ২০১২ সালের ১৫ মার্চ জারি করা প্রজ্ঞাপন।

আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো ও

তাদের তদারকি পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের বিষয়ে শৃঙ্খলা আনার জন্য প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। এতে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ কমবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদারকি পর্যায়ে আগে ধাপ ছিল ৫টি, এখন তা হবে ৩টি। এগুলো হলো—মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)। তবে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট (এফএ), ইউনিট ম্যানেজার (ইউএম) ও শাখা ম্যানেজার (বিএম) পদবিগুলো আগের মতোই থাকবে।

বলা হয়েছে, এফএরা প্রথম বছরে প্রিমিয়াম থেকে যে হারে কমিশন অর্জন করবেন, তার ওপর ইউএম ও বিএমরা কমিশন পাবেন নির্দিষ্ট হারে। যেমন ইউএমরা মূল কমিশন ৩০ ও বিশেষ কমিশন ৫ শতাংশ হারে পাবেন। আর বিএমরা মূল কমিশন ২০ ও বিশেষ কমিশন ১০ শতাংশ করে পাবেন।

এ ছাড়া তদারকি পর্যায়ে এফএদের জন্য যে কমিশন হার নির্ধারণ করা আছে, তার ওপর জিএমরা ১৪, ডিজিএমরা ১৬, এজিএমরা ১৮ শতাংশ পাবেন। মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো হবে পিরামিড আকারের। প্রত্যেক ইউএমের অধীনে কমপক্ষে ৫ জন সক্রিয় এফএ থাকবেন। প্রত্যেক শাখা ব্যবস্থাপকের অধীনে কমপক্ষে ৪ জন সক্রিয় ইউনিট ব্যবস্থাপক থাকবেন। আবার প্রত্যেক সুপারভাইজারের অধীনে কমপক্ষে ৩ জন উন্নয়ন কর্মকর্তা থাকবেন।

এ ছাড়া সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কমিশনভিত্তিক কোনো নিয়োগ বা পদায়ন করা যাবে না বলে গত ২৫ মার্চ যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেটি সবাইকে আবার মনে করিয়ে দিয়েছে আইডিআরএ।