টুইটারের বাণিজ্যিক ব্যবহারে মাশুল বসাতে চান ইলন মাস্ক

ব্যবসায়িক ও সরকারি কাজে টুইটার ব্যবহারকারীদের ভবিষ্যতে কিছু মাশুল গুনতে হতে পারে। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীরা এখনকার মতো বিনা পয়সায় টুইটার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, এমন আভাসই দিয়েছেন টুইটারের সিংহভাগ মালিকানা কিনে নেওয়া বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক বলেছেন, ভবিষ্যতে ব্যবসায়িকভাবে ও সরকারি কাজে টুইটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ‘মাশুল’ দিতে হতে পারে। খবর বিবিসির

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক সম্প্রতি টুইটারে তাঁর এক বার্তায় ব্যবসায়িক ও সরকারি কাজে টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কিছু ‘খরচ’ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। তবে বিবিসি এ বিষয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েও কারও বক্তব্য পায়নি।

সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার চুক্তি করেন ইলন মাস্ক। এরপরই টুইটারের বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের ওপর মাশুল আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে ইলন মাস্ক এও ঘোষণা দিয়েছেন, টুইটারে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা আরও বেশি সামাজিক এ যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

ইলন মাস্ক এও ঘোষণা দিয়েছেন, কয়েক বছরের মধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে পুঁজিবাজারে ফিরিয়ে আনবেন। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এ-ও বলছেন, ইলন মাস্ক তিন বছরের মধ্যে টুইটারের সব শেয়ার আবার বিক্রির পরিকল্পনা করছেন। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এ বছরের মধ্যেই ইলনের টুইটার কিনে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।

টুইটার কেনার চুক্তি অনুযায়ী, ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির সব শেয়ার কিনে নেবেন। এর ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক কোম্পানিটি প্রাইভেট, তথা ব্যক্তিগত কোম্পানিতে পরিণত হবে। গত সপ্তাহে ইলন মাস্ক তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার ৮৫০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, টুইটারের শেয়ার কিনতেই মূলত টেসলার শেয়ার বিক্রি করছেন বিশ্বের শীর্ষ এ ধনী। ইলন তাঁর হাতে থাকা টেসলার শেয়ার বিক্রি শুরু করায় গত মাসে শেয়ারবাজারে টেসলার শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ কমে গেছে। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় রয়েছেন ইলন মাস্ক, যার সিংহভাগই টেসলার শেয়ার।

এ ছাড়া রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সের শেয়ারের বড় একটি অংশের মালিকানাও রয়েছে ইলনের হাতে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।