ডাবরখালী খাল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ভরাট করা ডাবরখালী খাল খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। এ কাজ করবে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) কর্তৃপক্ষ। কারণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তারাই এ খাল ভরাট করেছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জীবন কুমার সরকারকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই সরকারের কাছে জমা দেওয়ার কথা আছে।

কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ডাবরখালী খাল স্বাভাবিক গতিপথে খনন করতে হবে। কারণ, ডাবরখালীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে সেখানকার স্লুইসগেট অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য যদি বিকল্প খাল খননের প্রয়োজন হয়, সেটা বেপজাই করবে, তার জন্য জমি সমন্বয়ও তারা নিজেরা করবে।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কাছ থেকে ১ হাজার ১৫০ একর জমি লিজ নেয় বেপজা। অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাট করতে গিয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ডাবরখালী খাল ভরাট করে ফেলে সংস্থাটি। বেজা বলছে, খাল ভরাট করে শর্ত ভঙ্গ করেছে বেপজা। কারণ, জমি লিজ নেওয়ার সময় তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল, পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করতে হবে। বেজা চায় খালটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। অন্যদিকে বেপজা বলছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাটের জন্য এর বিকল্প ছিল না। স্থানীয়দের এ কষ্ট সাময়িক। যত দ্রুত সম্ভব এর সমাধান হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেপজা অবৈধভাবে খাল ভরাট করেছে। তারা আমাদের জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি।

আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জানিয়েছি। আমরা চাই খালটি আগে যেমন ছিল, সে অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে আরও অনেক খাল আছে, আমরা একটা খালও বন্ধ করিনি। বেপজা যেটা করেছে সেটা অন্যায়।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য খালটি ভরাট করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাটের জন্য এর বিকল্প ছিল না। পরবর্তীকালে কন্ট্রোল চ্যানেলের মাধ্যমে ডাবরখালী খাল সচল করা হবে। খালের দুই পাশে দেয়াল করে দেওয়া হবে, যাতে খাল না ভাঙে।