শিল্পমালিকদের অবহেলা ও কারখানা পরিদর্শনে নিয়োজিত তদারকি সংস্থার দুর্বলতার কারণে শিল্পকারখানার দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা বাড়ছে। আরেক বড় অন্তরায় হচ্ছে অধিকাংশ শিল্পকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন না থাকা।
দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ফোরাম (আইএসএফ) শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনায় এ অভিযোগ করেছেন শ্রমিকনেতারা। রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের (এনসিসিডব্লিউই) চেয়ারম্যান শারমীন আরা বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছে। তবে দেশের ৮৭ শতাংশ শ্রমিকই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। গত বছর ১ হাজারের বেশি শ্রমিক শিল্প দুর্ঘটনায় মারা গেছে। দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ নয়, আমরা চাই শ্রমিকেরা যেন নিরাপদ কর্মপরিবেশে কাজ করতে পারেন, সে জন্য মালিকেরা উদ্যোগ নেবেন।’
শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার বলেন, মালিকদের অবহেলা ও আইন না মানা এবং আইন প্রয়োগ যথাযথভাবে না করার কারণেই শিল্পকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে মালিকদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
বাংলাদেশে শিল্পকারখানা পরিদর্শনে কমবেশি ১০টি সরকারি সংস্থা জড়িত। তবে এক সংস্থার সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় পাওয়া যায় না। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শিল্প খাতের সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বিভিন্ন তদারকির সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তা ছাড়া কারখানা পর্যায়ে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়মিত চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিয়াইনেন, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী প্রমুখ।