দেশের প্রথম জিআই পণ্য জামদানি
দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পেল জামদানি। আজ বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মো. ইফতিখারের হাতে এ নিবন্ধন সনদ তুলে দেন। বিসিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জামদানিকে এ নিবন্ধন দিল।
কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের যে কয়েকটি পণ্য সুপরিচিত, জামদানি অন্যতম। জামদানি জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ায় দেশীয় ঐতিহ্যগত সুরক্ষার পথে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে গেল। পর্যায়ক্রমে জাতীয় মাছ ইলিশসহ অন্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যেরও নিবন্ধন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভারতের জামদানি নিবন্ধিত হয়েছে ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে। আমরা বাংলাদেশের জামদানি নিবন্ধন করেছি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে। বাংলাদেশের জামদানির মান ভারতের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের জামদানি আমাদের পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করতে কোনো সমস্যা হবে না।’
জামদানির পর ইলিশকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডিপিডিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন কাজ চলছে এবং শিগগিরই ইলিশ মাছও জিআই নিবন্ধন পাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।