নগদ ব্যয়ের শর্ত শিথিলের দাবি ফরেন চেম্বারের

২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ করে কমানো হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, বছরে ১২ লাখ টাকার বেশি ব্যয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে করতে হবে। এই শর্ত মানতে না পারলে আগের মতোই কর দিতে হবে।

বাজেটের এই প্রস্তাব সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি বা এফআইসিসিআই)। শতভাগ ব্যাংকিং লেনদেনের পরিবর্তে আপাতত ৫০ শতাংশ ব্যয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে করার বিধান চায় সংগঠনটি। পরের বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই ব্যয় ১০ শতাংশ করে বাড়ানোর প্রস্তাব করে তারা। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ফরেন চেম্বারের সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়।

এফআইসিসিআই সভাপতি বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতা করে বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি। কারণ, এটি নিয়মিত করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) এমডি শেহজাদ মুনিম, ফিকির পরিচালক ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি জাভেদ আখতার, নেসলে বাংলাদেশের এমডি দীপাল আবেইউইক্রেমা এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফিকির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নূরুল কবির।

কর্মী মুনাফা অংশীদারত্ব তহবিল (ডব্লিউপিপিএফ) নিয়ে ফিকি নেতৃত্ব বলেন, ডব্লিউপিপিএফ একটা কোম্পানির জন্য খরচ, লাভ না। কারণ, এটা শ্রমিকদের দিতে হয়। কিন্তু এই খরচকে লভ্যাংশ মনে করে এর ওপর করারোপ করা শ্রম আইনের পরিপন্থী। ফলে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগ আরও নিরুৎসাহিত হবে।