পাঁচ ব্যাংকের উদ্যোগে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু

এবার রাষ্ট্রমালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংক মিলে চালু করল শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র। রাজধানীর দিলকুশার আল আমিন সেন্টারের চতুর্থ তলায় গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন এ দিবাযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের জন্য এটি চালু করা হয়েছে। এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘খেলাঘর’।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দিবাযত্ন কেন্দ্রটিতে প্রায় ৬৫ জন শিশু সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। দিবাযত্ন কেন্দ্রটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য পাঁচ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’কে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
গতকাল সেবা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করে ড. আতিউর রহমান বলেন, একজন মা তাঁর ছোট শিশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নিশ্চয়তা না পেলে চাইলেও কাজের জন্য ঘরে-বাইরে যেতে পারেন না। এ কারণে কর্মজীবী মায়েদের দিবাকালীন সেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। এতে করে মায়েরা নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন।
গভর্নর বলেন, ‘শ্রম আইনে বলা আছে, ৪০ বা তার বেশি বয়সের নারী শ্রমিক কর্মরত আছেন, এরূপ প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ছয় বছরের কম বয়সী শিশুর ব্যবহারের জন্য এক বা একাধিক উপযুক্ত কক্ষের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যদিও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেশির ভাগ ব্যাংকেই এখন পর্যন্ত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। ব্যাংকে কর্মরতদের একটি বড় অংশ নারী হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোতে দিবাযত্ন কেন্দ্র নেই। তাই এককভাবে বা ব্যাংকের নিকটবর্তী স্থানে যৌথভাবে দিবাযত্ন কেন্দ্র চালুর জন্য ২০১৩ সালে সব ব্যাংককে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নগর পিতাদের কাছে জায়গা চান গভর্নর। তিনি বলেন, নগর পিতারা জায়গা বরাদ্দ দিলে ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআরের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, নওশাদ আলী চৌধুরীসহ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীরাও উপস্থিত ছিলেন।