প্রবাসী আয়ে অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ

প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) বাংলাদেশকে সুখবর দিচ্ছে ২০২০ সাল। কোভিডের প্রভাবে যেখানে সারা বিশ্বে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমবে, সেখানে বাংলাদেশে এ বছর প্রবাসী আয় বাড়বে। চলতি ২০২০ সালে বাংলাদেশে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় আসতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রবাসী আয় প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশ এ বছর অষ্টম স্থানে থাকবে।  

‘অভিবাসনের সাপেক্ষে কোভিড-১৯ সংকট’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক ও নোম্যাডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।    
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২১ সাল নাগাদ বৈশ্বিক প্রবাসী আয়প্রবাহ ২০১৯ সালের মহামারিপূর্ব পর্যায়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে চলতি বছর সংকুচিত হবে, সেখানে প্রবাসী আয়ও স্বাভাবিকভাবেই কমবে।
তবে বৈশ্বিক মহামারি সত্ত্বেও এ বছর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বাড়বে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বাড়বে ৮ শতাংশ। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেনি এবং তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবাহ বেড়েছে।

আরও পড়ুন

এই তিন দেশ কেন ব্যতিক্রম—কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ঈদ ও বন্যার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আরও বলা হয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির শ্লথগতির কারণে যাঁরা টাকা পাঠাননি, তাঁরা যেমন তৃতীয় প্রান্তিকে টাকা পাঠিয়েছেন, তেমনি মহামারির কারণে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে টাকা পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে।

তবে এপ্রিলের প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছিল, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ১৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় আসতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে এখনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল দিয়েও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সচল থাকবে। এ অঞ্চলের অপর দেশ ভারতের প্রবাসী আয়ে আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ কমে যাবে, যদিও পরিমাণের দিক থেকে তারা যথারীতি শীর্ষে থাকবে।

প্রবাসী আয়ের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম। প্রথম স্থানে আছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয় স্থানে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী আয় গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমতে পারে। আর ২০২১ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ওই বছর প্রবাসী আয় কমতে পারে ১১ শতাংশ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চিত্রটা খারাপ। সার্বিকভাবে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে প্রবাসী আয় কমবে ১৪ শতাংশ। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে, এটা ১৫ শতাংশ হওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছিল।
প্রবাসী আয়ের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম। প্রথম স্থানে আছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয় স্থানে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)।
তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ—জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ নিয়ে প্রথম স্থানে আছে নেপাল, ৯ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান, ৮ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা।