বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেলসেতু হবে

যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে আরেকটি রেলসেতু হবে। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে সহজে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনেও এ সেতুটি কাজে লাগবে। এ জন্য ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর রেলপথে ওজন সীমাবদ্ধতার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলতে পারে না। এ সেতুতে ট্রেনও পূর্ণ গতিতে চলতে পারে না। এ প্রকল্পে জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা দেবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সম্পূর্ণ স্টিল দিয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

এ প্রকল্পটিসহ গতকালের একনেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১২ কোটি টাকার মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকার স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, ২১৬ কোটি টাকার জাতীয় ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন, ২০ হাজার ৫০১ কোটি টাকার ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ, ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকার বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট), ৭৭৬ কোটি টাকার আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্প, ৭৩২ কোটি টাকার সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ, ৬১৯ কোটি টাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ৭১৬ কোটি টাকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্প।