বাড়ছে না সময়, সোমবার শেষ হচ্ছে বাণিজ্য মেলা

রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনকেন্দ্রে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলছে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

করোনার বাড়ন্ত পরিস্থিতির কারণে এ বছর আর বাড়ানো হচ্ছে না ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময়সীমা। তাই রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনকেন্দ্রে আগামী সোমবার মাসব্যাপী এই মেলা শেষ হচ্ছে।

মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তারা জানান, মেলায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী ও গেট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানও সময় বাড়ানোর কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায়নি। তা ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেলার সময় বাড়ানোর কোনো নির্দেশনাও আসেনি, তাই মেলার সময়সীমা বাড়ছে না।

আগের বছরগুলোতে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় বাড়ানো হতো। সবশেষ ২০১৯ ও ২০২০ সালেও বাড়ানো হয় মেলার সময়সীমা। আর করোনার কারণে ২০২১ সালে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়নি। তবে এ বছর করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাণিজ্য মেলা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চললেও বাড়ানো হচ্ছে না সময়সীমা।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মেলা শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মেলার সময় বাড়ানো নিয়ে আমাদের কাছে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা আসেনি। আর অন্য কেউও সময় বাড়ানোর আবেদন করেনি। তাই মেলা নির্ধারিত সময়েই শেষ হচ্ছে। আমরাও চাচ্ছি মেলার সময় আর না বাড়ুক।’

মেলার প্রবেশপথের বা গেটের ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল শুক্রবারে আগের শুক্রবারের চেয়ে উপস্থিতি অনেক কম ছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উপস্থিতি কমে গেছে। তাই মেলার মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ যেন না ছড়ায় সেটা আমরাও চাই। এ জন্য মেলার সময় বাড়ানোর আবেদন করিনি। নির্ধারিত সময়েই মেলা শেষ হবে।’

করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি তিন দফায় বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সবশেষ নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে সভা-সমাবেশ বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ না করার কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

বিধিনিষেধে বাণিজ্য মেলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা চালু রাখেন আয়োজকেরা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মেলা প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্যবিধি ভাঙায় জরিমানা করা হচ্ছে নিয়মিত।

পূর্বাচলের নতুন ঠিকানায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনকেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বাণিজ্য মেলা। মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি খাবারের দোকান রয়েছে।